Advertisement
১৮ মে ২০২৪

সপ্তাহভর রাস্তা তৈরি শুরু আজ বাঁকুড়ায়

গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধানসভা ভিত্তিক— তিন স্তরেই রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সড়ক নির্মাণের গতি এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বলেই দাবি প্রশাসনিক মহলের।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০১:২৪
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে আয়োজিত হতে চলেছে গ্রামীণ সড়ক সপ্তাহ। সেই উপলক্ষ্যে বাঁকুড়ায় কয়েকশো নতুন রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধানসভা ভিত্তিক— তিন স্তরেই রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সড়ক নির্মাণের গতি এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বলেই দাবি প্রশাসনিক মহলের।

আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সাতদিন ব্যাপী গ্রামীণ সড়ক সপ্তাহ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সাত দিনে জেলার ১২টি বিধানসভা এবং সব ক’টি পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতেই নতুন রাস্তা গড়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পেই এক হাজার ৩২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নতুন ১৪৫টি রাস্তা গড়ার কাজ শুরু হচ্ছে। এ ছাড়াও তৃতীয় অর্থ কমিশনের বরাদ্দ করা ৭৮ লক্ষ টাকায় প্রায় ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ১৬টি রাস্তা, একশো দিনের প্রকল্পে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৭৭৪টি, গ্রাম পঞ্চায়েত স্বঃশক্তিকরণ প্রকল্পে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১২৬টি ও নাবার্ডের অর্থ সাহায্যে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তিনটি রাস্তা গড়ার কাজ চলেছে এই সপ্তাহে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) নবকুমার বর্মন জানান, সাত দিন ধরে ধাপে ধাপে সব রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। গোটা সপ্তাহ জুড়েই জেলার বিভিন্ন এলাকায় আনুষ্ঠানিত ভাবে এই কাজের সূচনা হবে।

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চিহ্নিত করে সেগুলি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীর কথায়, “গ্রীষ্মকালে রাজ্য জুড়ে যে রক্তের সঙ্কট দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় সর্বত্র শিবির করায় এ বার তা কেটে গিয়েছে। গ্রামীণ সড়ক সপ্তাহ পালনের উদ্যোগেও প্রত্যন্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নেও গতি বাড়তে চলেছে।’’

তবে এই প্রকল্পেও বিধানসভা ভিত্তিক রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে জেলার বিরোধী বিধায়কদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। বড়জোড়ার সিপিএম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তীর কথায়, “প্রশাসন কোথায়, কোন রাস্তা নির্মাণ করছে, সে ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আদৌ বড়জোড়ায় কোনও রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে কি না তাও আমার জানা নেই।” তিনি যুক্ত করেন, প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রেও দলতন্ত্র চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন এই প্রকল্পের বিষয়ে বিরোধী বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি, তার সদুত্তর অবশ্য দিয়ে পারেনি জেলা প্রশাসন। বিষয়টি এড়িয়ে যান জেলা শাসক মৌমিতাদেবীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE