Advertisement
E-Paper

শিল্পাঞ্চলেও অপুষ্ট শিশু, অসন্তুষ্ট ডিএম

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়জোড়ায় অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা ৬১ ও মেজিয়ায় ৫৬টি অপুষ্ট শিশু রয়েছে। বৈঠকে বাঁকুড়ার দু’টি শিল্পাঞ্চল ব্লকের অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা শুনে ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। তিনি অপুষ্টি দূর করতে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে বলেন। 

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২২
প্রশাসনিক বৈঠকে। নিজস্ব চিত্র

প্রশাসনিক বৈঠকে। নিজস্ব চিত্র

রানিবাঁধের পরে, বাঁকুড়ার বড়জোড়া ও মেজিয়া ব্লকের অপুষ্ট শিশুর পরিসংখ্যান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলাশাসক। বৃহস্পতিবার বড়জোড়া ব্লকের অডিটোরিয়াম ‘উন্মেষ’ হলঘরে মেজিয়া ও বড়জোড়া ব্লকের প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর এবং পঞ্চায়েতকে নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়জোড়ায় অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা ৬১ ও মেজিয়ায় ৫৬টি অপুষ্ট শিশু রয়েছে। বৈঠকে বাঁকুড়ার দু’টি শিল্পাঞ্চল ব্লকের অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা শুনে ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। তিনি অপুষ্টি দূর করতে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে বলেন।

বড়জোড়া ব্লক প্রশাসনের দাবি, অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা গত কয়েকমাসে বেশ কিছুটা কমেছে। দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এপ্রিলে বড়জোড়ায় অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা ছিল ৮১। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬১-তে। মেজিয়া ব্লকের তরফেও দাবি করা হচ্ছে, অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা কমছে।

তবে এ দিনের বৈঠকের পরে, অপুষ্টি দূরীকরণে ফের নতুন করে পরিকল্পনা করছে দু’টি ব্লকই। বিডিও (মেজিয়া) অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী তিন মাস অপুষ্ট শিশুদের সাপ্তাহিক বিশেষ পুষ্টিকর খাবার, মাসে দু’বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি, সাপ্তাহিক ভাবে ওই শিশুদের পর্যবেক্ষণে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”

বিডিও (বড়জোড়া) ভাস্কর রায় জানান, ব্লকের তরফে অপুষ্ট শিশুদের মাসে এক বার পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পাশাপাশি, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে নিয়মিত তাদের সমস্যাগুলির উপরে নজর রাখার পরিকল্পনা হচ্ছে। বড়জোড়ার বাসিন্দা তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ বলেন, “অপুষ্ট শিশুদের পরিবারগুলির প্রতি জনপ্রতিনিধিরাও এ বার বাড়তি গুরুত্ব দেবেন।”

কয়েকসপ্তাহ আগে রানিবাঁধ ব্লকে বৈঠক করতে গিয়ে সেখানেও অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা শুনে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন জেলাশাসক।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিনের বৈঠকে দুই ব্লক এলাকার সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে বড়জোড়ার ছান্দার, ঘুটগোড়িয়া, বৃন্দাবনপুর ও মেজিয়ার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একশো দিনের কাজের গতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন জেলাশাসক। বড়জোড়া ব্লকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল প্রকল্পের কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে বৈঠকে।

জেলাশাসক বৈঠকে দ্রুত সমস্যা মেটাতে নির্দেশ দেন। এ দিন বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য স্থানীয় মানাচরের চাষিদের সমস্যার কথা জেলাশাসকের সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানান, মানাচরের বহু কৃষক পরিবার জমির পাট্টা পেলেও, রেকর্ডে এখনও তাঁদের নাম না ওঠায় তাঁরা ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় আসতে পারছেন না। সমস্যাটি জেলা প্রশাসনের নজরে রয়েছে বলে আশ্বাস দেন জেলাশাসক।

Health Malnutrition Bankura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy