প্রচারপত্র ছড়িয়ে বহিষ্কার। —নিজস্ব চিত্র
দলেরই দুই কাউন্সিলর বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। তার জেরে পুরপ্রধানের কুর্সিও তাঁকে খোয়াতে হয়। এরপরেই লিফলেট ছাপিয়ে ওই দুই কাউন্সিলরকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন ঝালদার সদ্য প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের শহর সভাপতি প্রদীপ কর্মকার।
রবিবার রীতিমতো প্রচারপত্র ছাপিয়ে এই দুই কাউন্সিলরের বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। শুধু তাই নয়, এ দিন ঝালদায় রিকশায় মাইক বাজিয়ে এই দুই কাউন্সিলরকে যে দল বিরোধী কাজের দরুণ বহিষ্কার করা হল তা জনসাধারণকে জানানো হয়েছে।মা-মাটি-মানুষ, তৃণমূল ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘এতদ্বারা ঝালদার জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে যে, ঝালদা পুরসভার বর্তমান বোর্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শ্রীমতী মায়ারানি চন্দ্র, পুত্র চিরঞ্জীব চন্দ্র (ওয়ার্ড নং ৯) ও শ্রী মনোজ কুমার সাও (ওয়ার্ড নং ৭) বিভিন্ন রকম দল বিরোধী কাযর্কলাপের সঙ্গে লিপ্ত থাকার জন্য অদ্য তারিখ (২৯.৬.২০১৪) থেকে সারা ভারত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হল। আজ থেকে দু’জন কাউন্সিলর ও শ্রী চিরঞ্জীব চন্দ্রের সঙ্গে দলের কোনওরকম সম্পর্ক থাকল না। নীচে প্রদীপবাবুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, “আমি তৃণমূলের কাউন্সিলর হয়েই পুরপ্রধানের পদে ছিলাম। ব্যক্তি বড় নয়। দলের পক্ষেই আমি একটা পদে ছিলাম। তাঁরা দলেরই কাউন্সিলর হয়ে বামফ্রন্টের সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে মত দিয়ে দল বিরোধী কাজ করেছেন।
পুরবাসীর সব জানা প্রয়োজন বলে প্রচারপত্র ছাপিয়ে তাঁদের বহিষ্কার করা হল।” বিষয়টিকে অবশ্য দুরুত্ব দিতে নারাজ মনোজ সাও বা চিরঞ্জীব চন্দ্র। মনোজবাবু বলেন, “অনাস্থায় পরাজিত হয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে উনি এ সব করছেন। তিনি নিজেই তো বামফ্রন্টের এক কাউন্সিলরকে উপ-পুরপ্রধানের কাজ করতে বলেছিলেন।” তাঁরা দাবি করেন, এখন দলে জেলা সভাপতি আর দু-একটি পদ ছাড়া কোনও পদে কেউই নেই। তাই প্রদীপবাবুরই এখন কোনও পদ নেই। চিরঞ্জীবের দাবি, “শো-কজ না করে বহিষ্কার করা যায় না কি?” প্রদীপবাবু দাবি, “আমি যা করেছি দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই করেছি।” এ দিকে গোটা ঘটনায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েছে দল। ওঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে জেলা নেতৃত্ব পরিস্কার করছেন না। জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দলের জেলা নেতা নবেন্দু মাহালি শুধু বলেন, “অনাস্থা নিয়ে দলীয় রিপোর্ট এসেছে। আমরা খতিয়ে দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy