Advertisement
E-Paper

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে আবার সরগরম বালিজুড়ি

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ফের সরগরম তৃণমূলের দখলে থাকা দুবরাজপুরের বালিজুড়ি পঞ্চায়েত! সোমবার দলবল নিয়ে এসে পঞ্চায়েতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বালিজুড়ি বুথ সভাপতি প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলের দাবি, প্রশান্তবাবুরা জোর করে প্রধানের সিল এবং ‘অ্যাপ্রুভ্যাল সিল’ কেড়ে নিয়েছেন। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৫ ০০:৪১

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ফের সরগরম তৃণমূলের দখলে থাকা দুবরাজপুরের বালিজুড়ি পঞ্চায়েত!

সোমবার দলবল নিয়ে এসে পঞ্চায়েতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বালিজুড়ি বুথ সভাপতি প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলের দাবি, প্রশান্তবাবুরা জোর করে প্রধানের সিল এবং ‘অ্যাপ্রুভ্যাল সিল’ কেড়ে নিয়েছেন। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন!

অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যদের অনুপস্থিতিতে তাঁদের জাল সই করে শিবঠাকুরবাবু রেজোলিউশন পাশ করিয়ে বেআইনি ভাবে পঞ্চায়েতের টাকা তুলে নিয়েছেন। এ নিয়ে পঞ্চায়েতে কথা বলতে যাওয়াতেই প্রধান মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে প্রশান্তবাবুর দাবি। দু’পক্ষই এ দিন দুবরাজপুরের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এরই পাশাপাশি প্রধান এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। দুবরাজপুরের বিডিও সুশান্ত বালা বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনা হল, দলের নির্দেশে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়ায় তৃণমূলের টিকিটে জেতা শিবঠাকুর মণ্ডলকে দিন কয়েক আগেই দল থেকে বহিস্কার করেছে তৃণমূল। নেতাদের দাবি ছিল, দলবিরোধী কাজের জন্যই তাঁকে বহিস্কার করা হল। তার পর থেকেই পরিস্থিতি জটিল আকার নিয়েছে বালিজুড়ি পঞ্চায়েতে।

তৃণমূল ও প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২৯ ডিসেম্বর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিবঠাকুরবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন দলেরই সাত তৃণমূল সদস্য। দলের সদস্যেরাই অনাস্থা আনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। অস্বস্তি ঢাকতে বহু চেষ্টায় তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ভোটাভুটি অবধি গড়াতে দেননি দলীয় নেতৃত্ব। কিন্তু, বিক্ষুব্ধেরা তার পরেও এ নিয়ে তাঁদের অনমনীয় মনোভাব বজায় রাখেন। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। ঠিক হয় ভোটাভুটির প্রয়োজন নেই। এমনিতেই সরিয়ে দেওয়া হবে ওই প্রধানকে। দলীয় হস্তক্ষেপে শেষমেশ বিক্ষুব্ধ সদস্যেরা গত ১৩ জানুয়ারি ভোটাভুটির দিন অনুপস্থিত থাকায় অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়।

এ দিকে, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী এত দিন ওই প্রধানের বিরুদ্ধে এক বছর আর কেউ অনাস্থা আনতে পারতেন না। কিন্তু, ওই ঘটনার ঠিক পরেই পঞ্চায়েত আইনে সর্বশেষ সংশোধন অনুযায়ী বর্তমান নিয়মে আড়াই বছরের আগে কোনও পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনা যাবে না। শিবঠাকুর মণ্ডল এটাকেই হাতিয়ার করেছেন। তাই দল তাঁকে ইস্তফা দিতে বলুক বা বহিষ্কার করুক, তাতে বিন্দুমাত্র আমল দিতে রাজি হননি ওই প্রধান। ব্লক প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “প্রধান এক দিকে, অন্যান্য সদস্যেরা আর এক দিকে। সমস্যাটা সেই কারণেই শুরু হয়েছে।” তাঁর আশঙ্কা, এই দলীয় কোন্দলের জেরে পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজই ব্যাহত হবে।

স্মরণে পূর্ণিমা। নাট্যকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে রবিবার বিকেলে বোলপুর পুরসভার মঞ্চে হয়ে গেল এলাকার নাট্যজন, শিক্ষিকা পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ‘আমরা সবুজ’ নাট্যদলের সম্পাদিকা পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ধর্মান্ধতা’ ও ‘সাম্প্রদায়িকতা’র বিরুদ্ধে পূর্ণিমা দেবী ও তাঁর স্বামী ইলামবাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক জুলফিকার জিন্না বরাবর লড়াই চালিয়ে আসছেন। নাট্যদল ‘আমরা সবুজ’-এর উদ্যোগে পূর্ণিমাদেবীর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। স্মরণ সভার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সহকর্মীদের পাশাপাশি পূর্ণিমাদেবীর স্মৃতিচারণা করেন তাঁর চিকিৎসক সুরজিৎ বিশ্বাসও। শুধু বোলপুরই নয়, রবিবারের স্মরণসভা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নাট্যকর্মী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরাও।

tmc balijuri dubrajpur prasanta mukhopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy