Advertisement
০৮ মে ২০২৪

এখনও বিদ্যুৎ আসেনি সিউড়ির গার্লস স্কুলে

স্কুলে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শুক্রবারও ঠিকমতো ক্লাস হল না সিউড়ি আর টি গার্লস স্কুলে। প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে সকাল থেকে দৌড়ঝাঁপ করলেও কোনও লাভ হয়নি। টিফিন হতে না হতেই ছাত্রীরা বাড়ি চলে যায়। সেই সঙ্গে অধিকাংশ শিক্ষিকাও স্কুল থেকে চলে যান। প্রধান শিক্ষিকা মৌ দাশগুপ্ত অবশ্য বলেন, “শত চেষ্টা করেও শুক্রবারও স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা যায়নি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৪ ০১:২৪
Share: Save:

স্কুলে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শুক্রবারও ঠিকমতো ক্লাস হল না সিউড়ি আর টি গার্লস স্কুলে। প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে সকাল থেকে দৌড়ঝাঁপ করলেও কোনও লাভ হয়নি। টিফিন হতে না হতেই ছাত্রীরা বাড়ি চলে যায়। সেই সঙ্গে অধিকাংশ শিক্ষিকাও স্কুল থেকে চলে যান। প্রধান শিক্ষিকা মৌ দাশগুপ্ত অবশ্য বলেন, “শত চেষ্টা করেও শুক্রবারও স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা যায়নি।”

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে কোনও পরিচালন সমিতি নেই। বদলে প্রশাসক হিসেবে সিউড়ি পশ্চিম চক্রের স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) কাকলি জোয়ারদার রয়েছেন। বিদ্যুতের বিল নিয়ে গত মাস পাঁচেক থেকেই সমস্যা চলছে। নির্দিষ্ট সময়ে জানুয়ারি মাসের বিল না মেটানোয় মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দু’দিন আগে অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় রাজ্যবিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। কিন্তু পরীক্ষা থাকায় পরদিনই তা জুড়ে দেয়। স্কুলের এক শিক্ষিকা সম্প্রীতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা সকালে স্কুলে এসেই বেরিয়ে গিয়েছেন।” প্রধান শিক্ষিকার দাবি, মিটারে গণ্ডগোলের কারণে অতিরিক্ত বিল পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংস্থার কাছে মিটার পরীক্ষা করে সঠিক বিল পাঠানোর দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে একাধিকবার চিঠি করাও হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরে। তিনি বলেন, “কিন্তু তার কোনও সদুত্তর না দিয়ে বুধবার হঠাৎ করে স্কুলের একটি লাইন কেটে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কয়েকটি কিস্তিতে বিল মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের কাছে অনুরোধ জানাই লাইনটি জুড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা কোনও মতেই অনুরোধ রাখেননি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চেষ্টা করেও বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাই বিষয়টি সমাধানের জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিই। কিন্তু কিছু ছাত্রীর বাধায় তা আর সম্ভব হয়নি।”

প্রধান শিক্ষিকা জানান, শুক্রবার সকালে স্কুলে এসেই বেরিয়ে যান। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে শেষ পযন্ত অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে তিনি যান। তাঁর কথায়, “বিদ্যুৎ দফতরের অসহযোগিতার কারণে প্রথমে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে যাই। ওই দফতরের ডিরেক্টর (অতিরিক্ত) বি বাগের কাছে অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে অভিযোগ করি এবং অবিলম্বে লাইন জুড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সিউড়ির স্টেশন ম্যানেজারকে কয়েকটি কিস্তিতে বিল নেওয়ার কথা বলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের যিনি প্রশাসক রয়েছেন তাঁর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ, চেকে তাঁর সই লাগবে। কোথাও কিছু ব্যবস্থা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের (উন্নয়ন) দ্বারস্থ হয়েছি। প্রশাসক কাকলিদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এডিএম নিদিল ঈশ্বর আড়ি বলেন, ‘উনি সোমবার আসবেন। তাঁকে বলেছি, সকাল সকাল এসে চেকে সই করে দেওয়ার জন্য।’ এত কিছু করার পরেও কিছু না হয়, তা আমার আর কিছু করার নেই।”

এ দিকে, স্কুলের ছাত্রীরা বলে, “এ দিন নাম ডাকা হলেও কার্যত কোনও ক্লাস হয়নি। ক্লাস রুমেও খুব গরম। তাই টিফিনে বাড়ি চলে যাই।” ছাত্রীরা চলে যেতে না যেতেই অধিকাংশ শিক্ষিকারাও চলে যান। দুপুরে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের গেটে একটা নোটিস লাগানো। তাতে অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, এই পরিস্থিতির ব্যাপারে। ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, শুধু দু’জন শিক্ষিকা ও কয়েকজন শিক্ষাকর্মী আছেন। তিনটে নাগাদ প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে ফেরেন এবং হতাশার সুরে বলেন, “শত চেষ্টা করেও কিছু করা গেল না। দেখা যাক সোমবার কখন সমাধান হয়। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আসরাফ আলি মির্ধা বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা এসেছিলেন। সব শুনেছি।” এডিএম (উন্নয়ন) বলেন, “বিষয়টি দেখছি। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সংযোগ যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

বোলপুরে অনুষ্ঠান। কৃষি ও গ্রামোন্নয়নের জাতীয় ব্যাঙ্ক নাবার্ড-এর ৩৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বোলপুরে শুক্রবার হয়ে গেল একটি অনুষ্ঠান। ওই ব্যাঙ্কের প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বার্ড-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর কৃষিবিদ্যা, পল্লিসংগঠন, গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধ্যাপক, এলাকার একাধিক ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা নাবার্ড প্রতিষ্ঠান এবং তার অবদান সম্পর্কে বিশদে বর্ণনা করেন। বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে চলা অচলাবস্থার প্রসঙ্গ উঠে আসে ওই আলোচনায়। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শে, বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের অচলাবস্থা কাটানো নিয়েও সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

no electricity suri girls school
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE