Advertisement
০১ মে ২০২৪

কিষাণ মান্ডি চালুর নির্দেশ মন্ত্রীর

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরুলিয়া জেলায় সাতটি কিষাণ মান্ডি শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। রঘুনাথপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে এসে এ কথা জানান রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। ঠিক হয়েছে ব্লক স্তরে সাব কমিটি গড়ে কিষাণ মান্ডি পরিচালনা করা হবে। পুরো কাজ তত্ত্বাবধান করবে জেলা বাজার নিয়ন্ত্রক কমিটি (রেগুলেটরি মার্কেট কমিটি)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০০:৪০
Share: Save:

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরুলিয়া জেলায় সাতটি কিষাণ মান্ডি শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। রঘুনাথপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে এসে এ কথা জানান রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। ঠিক হয়েছে ব্লক স্তরে সাব কমিটি গড়ে কিষাণ মান্ডি পরিচালনা করা হবে। পুরো কাজ তত্ত্বাবধান করবে জেলা বাজার নিয়ন্ত্রক কমিটি (রেগুলেটরি মার্কেট কমিটি)। এ দিনের বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন জেলা সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী এবং রঘুনাথপুর, কাশীপুর ও পুরুলিয়ার তিন বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন কয়েকটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিও। পুরুলিয়ায় মোট ১৩টি কিষাণ মান্ডি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে এখনও পুরুলিয়া ২, হুড়া, বলরামপুর, মানবাজার, বরাবাজার, নিতুড়িয়া ও কাশীপুর ব্লকে মোট সাতটি কৃষক বাজার তৈরির কাজ শেষ। বাকি ছ’টির কাজ চলছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যের অন্যত্র কিছু জেলায় এই কিষাণ মান্ডি শুরু হয়ে যাওয়ায় পুরুলিয়ায় তৈরি হয়ে যাওয়া কৃষক বাজার তথা কিষাণ মান্ডিগুলি দ্রুত চালু করতে চাইছে কৃষি বিপণন দফতর। সেই প্রেক্ষিতেই এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে কৃষক বাজারগুলি শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গেলেন মন্ত্রী।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাজারগুলি চালানোর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় স্থির হয়েছে ব্লক স্তরে একটি করে সাব কমিটি তৈরি করা হবে। ওই কমিটিতে থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ, বিডিও, জয়েন্ট বিডিও-সহ কৃষক ও কৃষিজ দ্রব্য বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি। তবে কমিটির সদস্য সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়নি। এই কমিটিই কৃষকদের দোকান বন্টন, কৃষিজাত সামগ্রী বিক্রির প্রক্রিয়া-সহ বাজার পরিচালনার খুঁটিনাটি দিক দেখবে। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটি দেখভাল করবে জেলা বাজার নিয়ন্ত্রক কমিটি। এই কমিটির চেয়ারম্যান জেলাশাসক।

তবে এত তাড়াতাড়ি এই বাজারগুলি শুরু করা আদৌও সম্ভবপর কি না তা নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে প্রশাসনের মধ্যেই।প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরোদমে বাজারগুলি শুরু করে দেওয়ার আগে বাজারে পণ্য বিক্রি করার বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করা, দোকান বন্টন করার মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ কাজ রয়েছে। তবে রাজ্যের অন্যত্র কয়েকটি জেলায় কিষাণ মান্ডি শুরু হওয়ায় পুরুলিয়াতে এই বাজারগুলি ফেলে রাখতে চাইছেন না মন্ত্রী। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ দিনের আলোচনায় কী ভাবে কিষাণ মান্ডিগুলি পরিচালনা করা হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বাজারগুলি চালুর লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। সেই মতো প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE