আটক হওয়া গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
অবৈধ কয়লার ব্যবসা বন্ধ করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছিল। কিন্তু বাস্তবে অবৈধ কয়লা খাদানের ব্যবসা যে রমরমিয়ে চলছে সাঁতুড়ির মুরুলিয়া গ্রামে অবৈধ কয়লা বোঝাই একটি ট্রাক আটকের ঘটনায় তা প্রকাশ্যে এলো। পুলিশ নয়, ওই গাড়ি আটক করেছে সিআইএসএফ।
মঙ্গলবার রাতে অভিযানে নেমে সিআইএসএফ-র শীতলপুরের ইউনিট ওই ট্রাকটি আটক করে। উদ্ধার করা হয়েছে ২০ টনের বেশি কয়লা। যার বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা। নিয়ম অনুযায়ী ট্রাকটিকে আটক করার পরে সাঁতুড়ি থানার পুলিশের হাতেই তারা তুলে দিয়েছে। তবে ধরা পড়েনি চালক-সহ অবৈধ কয়লার কারবারিরা।
বস্তুত সাঁতুড়ি ও নিতুড়িয়া থানার একাংশে অবৈধ কয়লার কারবার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। পুলিশের কিন্তু দাবি এই অবৈধ কারবারে রাশ টানা গিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বরাবরই দাবি ছিল, কয়লার কারবারের পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। সাইকেল থেকে শুরু করে ছোট গাড়িতে কয়লা পাচার বহাল রয়েছে। তবে এ বার পাচারের সময় ১০ চাকার ট্রাক বোঝাই কয়লা সিআইসএফ আটক করায় অবৈধ কয়লার কারবার যে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে তা সবার সামনে এসে পড়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। তবে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি জেলার পুলিশ কর্তারা। ইসিএলের বর্ধমানের শীতলপুর ইউনিটের ইনস্পেক্টর ভিকি শর্মা বলেন, “বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে সাঁতুড়ির মুরুলিয়া গ্রামের কাছে ওই কয়লা বোঝাই ট্রাকটি আটক করা হয়। তবে আমাদের দেখেই চালক ট্রাক ছেড়ে পালিয়ে যায়। কয়লা সমেত ওই ট্রাকটিকে আটক করে সাঁতুড়ি থানাকে দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy