Advertisement
১১ মে ২০২৪
রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল

দুই শ্রমিককে আটক, থানা ঘেরাও সংগঠনের

বিনা অপরাধে পুলিশ দুই শ্রমিককে থানায় নিয়ে এসেছে, এই অভিযোগ তুলে মুরারই থানা ঘেরাও করল এসইউসিআই প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন। শুক্রবার সকালে ওই সংগঠন আটক দুই শ্রমিককে বিনা শর্তে ছাড়ার দাবিও তোলে। পরে পুলিশ অবশ্য ওই দুই শ্রমিককে ছেড়ে দেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মুরারই  শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৬
Share: Save:

বিনা অপরাধে পুলিশ দুই শ্রমিককে থানায় নিয়ে এসেছে, এই অভিযোগ তুলে মুরারই থানা ঘেরাও করল এসইউসিআই প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন। শুক্রবার সকালে ওই সংগঠন আটক দুই শ্রমিককে বিনা শর্তে ছাড়ার দাবিও তোলে। পরে পুলিশ অবশ্য ওই দুই শ্রমিককে ছেড়ে দেয়।

রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চলের ওই সংগঠনের নেতা রফিকুল হাসানের অভিযোগ, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের কাজ না দিয়ে কারখানা থেকে ছাটাই করে দিয়েছে। পুলিশ কারখানার মালিকপক্ষের হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমাদের সংগঠনের দুই শ্রমিককে পুলিশ বিনা অপরাধে বাড়ি থেকে তুলে আসে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বদলির দাবিতে এবং আমাদের শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এলাকার সমস্ত শ্রমিক এ দিন থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন।” তাঁর দাবি, ঘেরাওয়ের পরেই পুলিশ সংগঠনের দাবিমতো আটক শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে।

এ দিকে পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২ অগস্ট শ্রমিকদের একাংশ মুরারই থানার জিতপুর এলাকার একটি ক্রাশার জোর করে বন্ধ করে দেয়। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ক্রাশারের মালিক, রাজগ্রামের বাসিন্দা লালি খান। পুলিশের দাবি, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত করার জন্য মুরারই থানার বনরামপুর গ্রাম থেকে দুই শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। রফিকুল হাসানের অবশ্য ক্ষোভ, “পুলিশ কেবলমাত্র শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেই তৎপর হয়। কই মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তো কাউকে থানায় ডেকে আটক করা হয় না!” অন্য দিকে, ক্রাশারের মাকি তথা রাজগ্রাম পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য লালি খান জানান, জিতপুরে তাঁর দু’টি ক্রাশার রয়েছে। আর্থিক সমস্যা থাকায় যেগুলি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি একটি ক্রাশার তিনি চালু করেন। তাঁর দাবি, “একটি ক্রাশার চালুর পরে অন্যটির শ্রমিকেরাও ক্রাশার চালু করার দাবি তোলেন। চালু করতে না পারলে তাঁদের এমনি এমনি বেতন দিতে হবে বলেও দাবি জানায়। ওই শ্রমিকদের দাবি আমার পক্ষে মানা সম্ভব হয়নি বলে তাঁরা জোর করে আমার চালু ক্রাশারটিকেও বন্ধ করে দেন।” ক্রাশার চালু করা হলে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরেই তিনি থানায় অভিযোগ করেন।

এসডিপিও (রামপুরহাট) কোটেশ্বর রাও বলেন, “পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ওই ঘটনার তদন্তের জন্য দু’জনকে আটক করেছিল। পরে তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে, ঠিক কী ঘটেছে, তা সঠিক ভাবে খোঁজ না নিয়ে বলা যাবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

murarai agitation police station
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE