Advertisement
১৮ মে ২০২৪

বিডিও ঘেরাও রামপুরহাটে

ব্লক এলাকায় উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজ করেও টাকা মেলেনি। ক্ষোভে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা তাঁরই অফিসে বিডিওকে ঘেরাও করলেন ঠিকাদারদের একাংশ। ঘটনাটি রামপুরহাট ১ ব্লকের। ঠিকাদার মিলন দাস বলেন, “দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ার জন্য আমাদের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি জুলাই মাস থেকে চলছে। আজকের কর্মসূচি তারই একটি অঙ্গ। এ দিন ব্লক অফিসের কর্মীদের বলে দেওয়া হয়েছিল, ঘেরাও চলাকালীন কেউ যেন বিডিও-র ঘরে না ঢোকেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৪ ০১:০৯
Share: Save:

ব্লক এলাকায় উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজ করেও টাকা মেলেনি। ক্ষোভে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা তাঁরই অফিসে বিডিওকে ঘেরাও করলেন ঠিকাদারদের একাংশ। ঘটনাটি রামপুরহাট ১ ব্লকের। ঠিকাদার মিলন দাস বলেন, “দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ার জন্য আমাদের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি জুলাই মাস থেকে চলছে। আজকের কর্মসূচি তারই একটি অঙ্গ। এ দিন ব্লক অফিসের কর্মীদের বলে দেওয়া হয়েছিল, ঘেরাও চলাকালীন কেউ যেন বিডিও-র ঘরে না ঢোকেন। সেই মতো কর্মীরা কেউ ঘরে প্রবেশ করেননি।” অশান্তি বা গণ্ডগোল এড়াতে মহকুমাশাসকের নির্দেশে ব্লক অফিসে পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শেষমেষ আজ, বুধবার সকালে মহকুমাশাসকের অফিসে তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেওয়ার পরে তাঁদের কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, ২০১০-১১ আর্থিক বছরে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ণ পর্ষদে ৪৫ লক্ষ টাকা কাজ করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই টাকা তাঁদের দেওয়া হয়নি। এর ফলে ১৯ জন ঠিকাদার বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই কাজের জন্য টাকা প্রতিটি প্রকল্প অনুযায়ী ব্লক অফিসের উন্নয়ন খাতে এসে পড়ে আছে এবং বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও বিডিও ওই টাকা দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে একাধিক বার ব্লক প্রশাসন থেকে মহকুমাশাসক, জেলা শাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মিলনবাবু। বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ বলেন, “সম্প্রতি জেলা প্রশাসন থেকে আমাকে ওই সমস্ত কাজের তদন্ত করে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়। আমি সেই মতো রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমি ঠিকাদারদের দাবি পূরণ করতে পারছি না। ঠিকাদারদের দাবি এবং আন্দোলনের বিষয়ে এসডিওকে বলা হয়েছে।”

অন্য দিকে, জেলা পরিকল্পনা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মোদক বলেন, “তৎকালীন রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতি ওই কাজ করেয়েছিল। কাজ করার পর এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠায় বিডিওর তদন্ত রিপোর্ট পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নপর্ষদ অফিসে পাঠানো হয়েছে। ঠিকাদারদের টাকা দেওয়ার ব্যাপারে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতো বিডিওকে কাজ করতে হবে। এর জন্য ঠিকাদারদের ধৈর্য ধরতে হবে। তা না হলে তা তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rampurhat bdo officer bdo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE