‘পরিষেবা মেলা’য় জানানো হয়েছিল, আবেদনপত্র জমা করার এক সপ্তাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু আবেদনপত্র পূরণ করে টাকা জমা দেওয়ার পরে পাঁচ মাস কেটে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি কয়েকজনকে। বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্তকে কাছে পেয়ে এমনই অভিযোগ তুললেন কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া।
সম্প্রতি বিদ্যুৎমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলায় গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ কেমন হচ্ছে তা সরজমিন দেখতে এসেছিলেন। জেলাশাসকের অফিসে বৈঠকে সৌমেনবাবু মন্ত্রীকে বিষয়টি জানান। পরে সৌমেনবাবু বলেন, “বিদ্যুৎমন্ত্রী কাজ কেমন হচ্ছে আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে জানাই গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাশীপুর ব্লকের কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ দফতর ‘পরিষেবা মেলা’ করেছিল। ওই মেলায় যাঁরা নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করবেন তাঁদের সাত দিনের মধ্যে সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। এপিএল-রা টাকা জমা দিয়ে আশায় থাকলেও পাঁচ মাস পরেও তাঁরা সংযোগ পাননি।’’
এই ব্লকের গৌরাঙডি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার চক্রবর্তী জানান, তাঁর পঞ্চায়েত এলাকাতেও এ রকম বেশ কিছু সংযোগ এখনও আটকে রয়েছে। কাশীপুরের বাসিন্দা শেখ ফরিদ বলেন, “আমিও পরিষেবা মেলায় বিদ্যুৎ চেয়ে আবেদন করেছিলাম। বিদ্যুৎ দফতরের স্থানীয় অফিসে বার বার খোঁজ করতে যাচ্ছি। কিন্তু তাঁরা কিছুই জানাতে পারছেন না।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, বিদ্যুৎমন্ত্রী এমন অভিযোগ শুনে প্রচন্ড বিরক্ত হন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও পুরুলিয়ায় গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজে হতাশ। গত বার প্রশাসনিক বৈঠকে এসে এ নিয়ে তিনি প্রকাশ্যেই নিজের অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করেছিলেন। তাই এ বার দলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে এই অভিযোগ শুনে বিদ্যুৎমন্ত্রী দ্রুত বকেয়া সংযোগ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন।
গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন দফতরের পুরুলিয়ার প্রকল্প আধিকারিক আশিস নারায়ণ ভট্টাচার্য বলেন, “কিছু সংযোগ বকেয়া পড়ে রয়েছে ঠিকই। এ নিয়ে সম্প্রতি বৈঠক হয়েছে। আশা করছি তাড়াতাড়ি সংযোগগুলি দেওয়া যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy