Advertisement
E-Paper

ভাঙন ঠেকাতে কংগ্রেসের বৈঠক

দলের প্রতীকে জেতা জেলার একমাত্র বিধায়ক রং পাল্টালেও এলাকার কর্মী-সমর্থক এবং জনপ্রতিনিধিরা এখনও দলের উপরেই ভরসা রাখছেন, এমনটাই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল জেলা কংগ্রেস। ভাঙন ঠেকাতে রবিবার রামপুরহাটে কংগ্রেস কার্যালয়ে দলের ব্লক কংগ্রেস সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, জেলাপরিষদ সদস্য, দখলে থাকা সব ক’টি পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৪ ০০:২৩

দলের প্রতীকে জেতা জেলার একমাত্র বিধায়ক রং পাল্টালেও এলাকার কর্মী-সমর্থক এবং জনপ্রতিনিধিরা এখনও দলের উপরেই ভরসা রাখছেন, এমনটাই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল জেলা কংগ্রেস। ভাঙন ঠেকাতে রবিবার রামপুরহাটে কংগ্রেস কার্যালয়ে দলের ব্লক কংগ্রেস সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, জেলাপরিষদ সদস্য, দখলে থাকা সব ক’টি পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি।

গত ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কলকাতায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হাঁসনের পাঁচ বারের কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মাল। তার পরে বিধায়কের বেশ কিছু অনুগামীও দল ছেড়েছেন। যদিও এ দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন বিধায়কের ঘনিষ্ঠ অনুগামী বলে পরিচিত মাড়গ্রাম ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সুজাউদ্দিন। কংগ্রেসের দাবি, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকেই দলের এই সঙ্কটে অন্য কোনও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে নাম লেখাবেন না বলে স্পষ্ট করেছেন। পরে জিম্মির প্রতিক্রিয়া, “বিধায়কের কিছু অনুগামী যে দল ছাড়বেন, তা জানি। কিন্তু আমার বিশ্বাস যাঁরা প্রকৃত কংগ্রেসি, যাঁরা হৃদয় দিয়ে কংগ্রেসটা করে আসছেন, তাঁরা কখনই দলকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলে নাম লেখাতে পারেন না।” তাঁর দাবি, এলাকার কংগ্রেস কর্মীরা যে এখনও কংগ্রেসেই আছেন, তা এ দিন আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। জিম্মি বলেন, “এই নেতা-কর্মী-সমর্থকেরাই দলের আসল সম্পদ। এঁদের নিয়েই আমরা নতুন করে কংগ্রেস দলটা করব।” বৈঠকে অবশ্য ছিলেন না রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির তেরো জন কংগ্রেস সদস্য। বিধায়কের দেখানো পথেই তাঁরা তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। এ দিকে, নানুরে তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে অসিতবাবু বলেন, “রাজনৈতিক ভাবে কোনও দলের নেতৃত্ব তার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতেই পারেন। সে ব্যাপারে আমি মন্তব্য করতে চাই না। তবে, এ কথা বলতে পারি আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কেউ যোগদান করেননি। যে দিন করবেন, সে দিন কার কোথায় অবস্থান, বোঝা যাবে।” যদিও সুজাউদ্দিনের বক্তব্য, “ব্লকের সমস্ত কংগ্রেস কর্মীরা কংগ্রেসেই আছেন। ব্লকের সমস্ত নেতৃত্ব তা জানিয়েও দিয়েছেন। কে কোথায় গেল, কে দল ছাড়ল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা কংগ্রেস করি, অন্য কোনও প্ল্যাটফর্মে নেই।”

rampurhat river bank erosion congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy