মাওবাদী গতিবিধি রয়েছে কিংবা অতীতে কোনও মাওবাদী নাশকতার ঘটনা ঘটেছে এই নিরিখে জেলার চিহ্নিত থানার সংখ্যা ছিল ৯টি। এ বার সেই সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ১১টি। যদিও নতুন কোনও থানা এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে না। খয়রাশোল ও রাজনগর দু’টি থানাকে ভেঙে হচ্ছে লোকপুর ও চন্দ্রপুর থানা।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে থানাগুলি চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। প্রসঙ্গত, জেলার ৯টি মাওবাদী প্রভাবিত থানার তালিকায় রয়েছে খয়রাশোল, রাজনগর, কাঁকরতলা, মহম্মদবাজার, রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারইয়, দুবরাজপুর ও সদাইপুর থানা। যেগুলির অধিকাংশই পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সীমানা ঘেঁষা থানা। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অতীতে একাধিক মাওনাশকাতার সাক্ষী খয়রাশোল ও রাজনগর থানা ভাঙছে। উপযুক্ত নজরদারি বাড়াতে খয়রাশোল থানা এলাকার মোট ৬টি পঞ্চায়েত এলাকার নাকড়াকোন্দা, রুপসপুর ও লোকপুর নিয়ে হচ্ছে লোকপুর থানা। দিন কয়েকের মধ্যে লোকপুর থানা শুরু হতে চলছে বর্তমানে যেটি লোকপুর ফাঁড়ি রয়েছে সেখানেই। অন্য দিকে, রাজনগর থানা এলাকার মোট পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তাঁতিপাড়া ও চন্দ্রপুর এই দু’টি অঞ্চল নিয়ে চন্দ্রপুর থানা শুরু হতে যাচ্ছে চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত ভবনের মধ্যেই।
বৃহস্পতিবার ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) অজয়কুমার নন্দ শুরু হতে যাওয়া থানাগুলি ভিজিট করে গিয়েছেন। তবে সবচেয়ে যেটা উল্লেখযোগ্য, তা হল নতুন দু’টি থানাকে মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটির জন্য ব্যয় করা হবে ২ কোটি টাকা। উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রধান গুরুত্ব দিয়ে থানার উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। যেগুলির মধ্যে থানার ভবন, পুলিশকর্মীদের জন্য ব্যারাক, পনীয় জল-সহ সব ব্যবস্থা করতে ইতিমধ্যেই দু’টি থানার জন্য সাড়ে তিন বিঘা করে জমি নির্বাচিত ও হস্তান্তরের কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই খাতে সরকারি বরাদ্দের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy