জনসংযোগ বাড়াতে স্বাস্থ্য শিবির থেকে খেলাধুলো, বই থেকে পোশাক বিলিও করেছে পুলিশ। এ বার মেলায় স্টল দিয়ে সাধারণ মানুষের মনের কথা জানতে চাইল ওন্দা থানার পুলিশ।
রাতে কোথায় পুলিশ পিকেট করা দরকার, কোন কোন এলাকায় ইভটিজিং হচ্ছে, কোথায় বাড়ানো দরকার পুলিশ টহল এই সব নিয়ে মেলা চত্বরে গিয়ে এলাকাবাসীর দাবিদাওয়া শুনলেন ওন্দা থানার ওসি মানস চট্টোপাধ্যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে দিয়ে দাবি দাওয়া লিখিয়েও নিয়েছেন তিনি। এমনকী একমাস পরে এই সব এলাকার বাসিন্দাদের থানায় ডেকে ‘দাবি মতো কাজ হয়েছে কি না’ তা নিয়ে মতামতও জানাতে বলেছেন তিনি।
দোল উপলক্ষ্যে ওন্দা থানার গোগড়ায় গত কয়েকদিন ধরে একটি মেলা বসেছে। এই মেলায় ওন্দা থানার তরফে পুলিশের একটি নিজস্ব স্টল দেওয়া হয়েছিল। গত সাত দিন ধরেই এই স্টল থেকে কাউকে এটিএমের গোপন নম্বর না দেওয়া, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা, ট্রাফিক আইন সচেতনতার মতো নানা বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করছিলেন পুলিশ কর্মীরা। মেলার শেষ দিন শুক্রবার বেছে নেওয়া হয়েছিল এলাকাবাসীর মতামত জানার জন্য। ওন্দার ফুটবল ময়দানের বাসিন্দা সোমনাথ সেন অভিযোগ করেন, “ওন্দা হাইস্কুলের সামনে ছুটির সময়ে ইভটিজিং করা হচ্ছে। এ ছাড়াও রাস্তার উপরে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশ যদি একটু নজর দেয় তাহলে ভাল হয়।” নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওন্দা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “স্টেশন লাগোয়া এলাকাগুলিতে রাতে মদের আসর বসতে দেখা যাচ্ছে। পুলিশি নজরদারি চাই।” বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ওসি।
ওন্দা থানার এই উদ্যোগটির প্রশংসা করে বাঁকুড়ার ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) বাপ্পাদিত্য ঘোষ বলেন, “পুলিশ সাধারণ মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের সমস্যাগুলি শোনার যে ব্যবস্থা ওন্দা পুলিশ করেছে তা প্রশংসনীয়। আশাকরি যে সমস্যাগুলি সামনে এসেছে সে ব্যাপারে ওরা দ্রুত পদক্ষেপ করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy