Advertisement
২১ মে ২০২৪

মিলছে না ভাতা, ক্ষুব্ধ বর্ধমানের সম্পদকর্মীরা

গত বছরের নভেম্বর থেকে বেতন মিলছে না, এই অভিযোগে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখাল ‘ইউনাইটেড পঞ্চায়েত সম্পদ কর্মী অ্যাসোসিয়েশন’। অতিরিক্ত জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেয় তারা। ছিলেন বিজেপি নেতারা। সংগঠনের সভাপতি স্বপ্না সরকারের অভিযোগ, “আগে আমরা তৃণমূল সমর্থক ছিলাম। বারবার চেষ্টা করেও রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। তাই এখন আমরা বিজেপি-র দ্বারস্থ হয়েছি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:২৮
Share: Save:

গত বছরের নভেম্বর থেকে বেতন মিলছে না, এই অভিযোগে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখাল ‘ইউনাইটেড পঞ্চায়েত সম্পদ কর্মী অ্যাসোসিয়েশন’। অতিরিক্ত জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেয় তারা। ছিলেন বিজেপি নেতারা।

সংগঠনের সভাপতি স্বপ্না সরকারের অভিযোগ, “আগে আমরা তৃণমূল সমর্থক ছিলাম। বারবার চেষ্টা করেও রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। তাই এখন আমরা বিজেপি-র দ্বারস্থ হয়েছি।”

সম্পদকর্মীদের অভিযোগ, মাসের প্রতি দিনই তাঁদের কাজ করতে হয়। গ্রামে নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা, সেই দলগুলির নিবন্ধীকরণ করানো, প্রশিক্ষণ দেওয়া, তাঁদের নিয়ে সভা করা, মিড ডে মিলে সহায়তা করা, জনস্বাস্থ্য প্রকল্প, একশো দিনের কাজ ও ইন্দিরা আবাস যোজনার কাজের তদারকি, ভোটার তালিকা তৈরি, এমনকি লোক গণনার কাজও তাঁদের করতে হয়। বিনিময়ে মাত্র ৫০০ টাকার মাসিক ভাতা মেলে। সেই ভাতাও বর্তমানে বন্ধ। তাঁরা জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৬১২৬ জন সম্পদকর্মী রয়েছেন। ভাতা না মেলায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

বিক্ষোভে সামিল হওয়া সম্পদকর্মীদের অন্যতম গলসি-২ ব্লকের আদ্রাাহাটির ইন্দিরা গড়াই বলেন, “২০০৭ সাল থেকে আমরা এই কাজ করছি। বর্ধমানের জেলাশাসকের মাধ্যমে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কাছে সমস্যার কথা জানালেও কোনও কাজ হয়নি।” মন্তেশ্বরের সম্পদকর্মী বেলোয়ার হোসেন মণ্ডলের ক্ষোভ, রাজ্য সরকার ২০১১ সালের জুনের একটি নির্দেশনামায় যে আনন্দধারা প্রকল্পের কথা ঘোষনা করেছে সেখানে বিভিন্ন নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু ওই পদগুলির মধ্যে সম্পদকর্মীর পদ নেই। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার সম্পদকর্মীদের পারিশ্রমিক দিতে বললেও রাজ্য দিচ্ছে না।

অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ উৎপল বিশ্বাস বলেন, “আমি ওই কর্মীদের কাছ থেকে স্মারকলিপি নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে।”

অন্য দিকে, সিপিএম ও বিজেপি থেকে বেশ কিছু কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। শনিবার কালনা এসটিকেকে রোডের পাশে তৃণমূলের একটি সভায় ওই কর্মীরা যোগ দেন। শহরের তৃণমূল নেতা গোরা পাঠকের দাবি, সাম্প্রতিকালে কালনা শহরে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে একসঙ্গে এত কর্মী তৃণমূলে দলে যোগ দেয়নি। বিজেপি অবশ্য তাঁদের কর্মীদের অন্য দলে যাওয়ার কথা মেনে নেয়নি। বিজেপির জেলা নেতা রাজীব ভৌমিকের পাল্টা দাবি, “সে দিনের সভায় তৃণমূল সমর্থকরা এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন।” সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির এক নেতা জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bardhaman allowance allowance not available
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE