কাজ নেই। অলস দুপুরে তাই ঘুম। জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের ইটভাটায় ছবিটি তুলেছেন শুভ্র মিত্র।
ইটভাটা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র ডাকা আন্দোলনে টানা দু’দিন বন্ধ রয়েছে বিষ্ণুপুর ব্লকের অযোধ্যা, জয়কৃষ্ণপুর, রাধানগর অঞ্চলের ২৫টি ইটভাটা। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই সব ইটভাটার মালিকেরা।
ইটভাটা মালিক সমিতির বিষ্ণুপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত মঙ্গলবার বলেন, “এখন এক হাজার ইট বানানোর মজুরি ৩৯০ টাকা। ভাল বাজার না থাকায় ও কয়লার দর বৃদ্ধির কারণে যথেষ্ট লোকসানে চলছে আমাদের ব্যবসা। এই অবস্থায় আরও ৪০ টাকার বর্ধিত মজুরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে ওই শ্রমিক সংগঠন। কিন্তু, উৎপাদন ব্যাহত করে এ কেমন আন্দোলন আমরা বুঝতে পারছি না।” তাঁর সাফ কথা, ৪০ টাকা তো দূর অস্ত, বাজারের যা অবস্থা, এখন এক টাকাও মজুরি বাড়ানো সম্ভব নয় ইটভাটা মালিকদের পক্ষে। ইটভাটা বন্ধ থাকায় কাজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন ভাটা থেকে ইট বহনকারী ট্রাক, ট্রাক্টর বা গরুর গাড়ির চালকেরাও। অযোধ্যা গ্রামে ভাটা থেকে ইট তুলতে আসা এক ট্রাক্টর চালক এ দিন বলেন, “আগে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। ফলে সারা দিনটা শুয়েবসেই কাটাতে হচ্ছে। জানি না ক’দিন এমন চলবে।”
ইটভাটার কাছাকাছি ঝুপড়িতে থাকা কয়েক জন শ্রমিকের দেখা মিললেও তাঁরা এই আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। যা বলার শ্রমিক নেতারাই বলবেন বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। আইএনটিটিইউসি-র রাধানগর শাখার সম্পাদক মনোরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “৪০ টাকা নয়। শ্রমিক স্বার্থে আমরা মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বাড়াতে চেয়ে ভাটা মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তাতেও ওঁরা রাজি না হওয়ায় এই আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” যদিও সংগঠনেরই এই আন্দোলন সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন আইএনটিটিইউসি-র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি স্বপন বাউরি। তাঁর বক্তব্য, “কাজ বন্ধ করে কোনও আন্দোলন কর্মসূচিতে আমরা বিশ্বাসী নই। খোঁজ নিয়ে দেখছি ঠিক কী হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy