Advertisement
E-Paper

মধ্যরাতের আগুনে ছাই ১৩টি বাড়ি

আগুন লেগে এক রাতে ১৩টি খড়ের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেল। মানবাজার থানার পুটকাডি গ্রামের ঘটনা। বাসিন্দাদের দাবি, রাত ১১টা নাগাদ বিশ্বনাথ সরেনের বাড়িতে প্রথম আগুন লাগে। দশ মিনিটের মধ্যে ওই আগুন অন্যান্য বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ১৩টি পরিবারেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট। আগুনের কবল থেকে গেরস্থালির জিনিস বাঁচাতে গিয়ে বুড়ি সরেন নামে এক বৃদ্ধা জখম হন। বেশ কয়েকটি মুরগিও ঝলসে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৪৫
অগ্নিদগ্ধ বাড়ির ছবি তুলেছেন সমীর দত্ত।

অগ্নিদগ্ধ বাড়ির ছবি তুলেছেন সমীর দত্ত।

আগুন লেগে এক রাতে ১৩টি খড়ের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেল। মানবাজার থানার পুটকাডি গ্রামের ঘটনা। বাসিন্দাদের দাবি, রাত ১১টা নাগাদ বিশ্বনাথ সরেনের বাড়িতে প্রথম আগুন লাগে। দশ মিনিটের মধ্যে ওই আগুন অন্যান্য বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ১৩টি পরিবারেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট। আগুনের কবল থেকে গেরস্থালির জিনিস বাঁচাতে গিয়ে বুড়ি সরেন নামে এক বৃদ্ধা জখম হন। বেশ কয়েকটি মুরগিও ঝলসে গিয়েছে।

গ্রামবাসী রামচাঁদ সরেন ও তার স্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মী জ্যোৎস্না সরেন বলেন, “বৃহস্পতিবার এক কিমি দূরে অক্ষয়পুর গ্রামে শিবগাজন উপলক্ষে রাতে মেলা বসেছিল। গ্রামের বেশির ভাগ লোকের সঙ্গে আমরাও মেলায় গিয়েছিলাম।” রামচাঁদের কথায়, “আগুন লাগার খবর পেয়ে গ্রামে এসে দেখি, আমাদের পাড়ার প্রায় সব বাড়িই দাউদাউ করে জ্বলছে।” শুক্রবার সকাল ন’টা নাগাদ পুটকাডি গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, দমকলকর্মীরা তখনও জল ছিটিয়ে চলেছেন। দগ্ধ বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা জলেশ্বর মুর্মু জল-কাদা আর পোড়া ছাই থেকে বেঁচে যাওয়া ধান আলাদা ভাবে বাছাই করার চেষ্টা করছিলেন। বাড়িতে রাখা সাইকেল আগুনের তাপে মুচড়ে বেঁকে গেছে। যদি কিছু মেলে এই আশায় বাড়ির মেয়েরা ছাইয়ের গাদা হাতড়ে চলেছেন।

পুরুলিয়া দমকল কেন্দ্রের এসআই নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “আমরা আসার আগেই বাড়িগুলি পুড়ে গিয়েছিল। তবে, আগুন যাতে আর না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে পাশাপাশি বাড়িতেও জল ছেটানো হয়েছে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। সব মিলিয়ে ১৭টি ঘর পুড়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।” গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে জলের সংস্থান নেই। পুকুর নেই। ডোবার জল অনেক দিন আগে শুকিয়ে গেছে। সম্প্রতি গ্রামে একটি নলকূপ খনন করা হলেও তা এখনও ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি। এক কিলোমিটার দূরে কংসাবতী নদী। ক্ষুদিরাম সরেন, ললিতা মুর্মু বলেন, “চোখের সামনে বাড়িগুলো পুড়তে দেখেও স্রেফ জলের অভাবে আমরা কিছু করতে পারিনি। যথাসর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেল।” মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “মোট ১৩টি বাড়ি পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু পোশাক, চাদর এবং পরিবার পিছু ১২ কেজি করে চাল আপাতত ত্রাণ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। পরে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে।”

burnt house manbazar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy