Advertisement
E-Paper

মনোনয়ন তুলে নিল টিএমসিপি

মনোনয়নপত্র জমা করেও শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। আর তার জেরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে ফের ক্ষমতা ধরে রাখল ‘স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশন’ (এসএ)। সোমবার এই কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা ছিল। মেডিক্যাল কলেজের ডিন তথা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পর্যবেক্ষক গৌতমনারায়ণ সরকার জানান, ১০টি আসনেই এক জন করে প্রার্থী ছিলেন। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। তাই ভোট হয়নি। স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশনের ছাত্ররাই জয়লাভ করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২১

মনোনয়নপত্র জমা করেও শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। আর তার জেরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে ফের ক্ষমতা ধরে রাখল ‘স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশন’ (এসএ)। সোমবার এই কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা ছিল। মেডিক্যাল কলেজের ডিন তথা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পর্যবেক্ষক গৌতমনারায়ণ সরকার জানান, ১০টি আসনেই এক জন করে প্রার্থী ছিলেন। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। তাই ভোট হয়নি। স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশনের ছাত্ররাই জয়লাভ করেছেন।

বাঁকুড়া মেডিক্যালের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রথম থেকেই এ বার উত্তেজনা ছিল। তার অন্যতম কারণ, কয়েক মাস আগেই কলেজে একটি ইউনিট চালু করেছিল টিএমসিপি। কলেজ সূত্রে খবর, ন’য়ের দশক থেকেই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদে ক্ষমতায় রয়েছে স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশন (এসএ) নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সেই সময় ওই সংগঠনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ২০০৯ সালে কলেজকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে মেডিক্যাল কলেজের ইউনিটটি বন্ধ করে দেয় এসএফআই। তাদের সদস্যেরাও এসএ দলে যোগ দেন। যার ফলে ওই বছর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। প্রতি বছরই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে আসছে এসএ।

সম্প্রতি কলেজে টিএমসিপি ইউনিট খোলার পর থেকে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এসএ-র অভিযোগ, টিএমসিপির হাত ধরে কলেজে বহিরাগতদের আনাগোনা শুরু হয়। ছাত্রদের জোর করে টিএমসিপি-তে আনতে হুমকিও দেওয়া হতে থাকে। কলেজে টিএমসিপি-র শক্তি বাড়াতে হাসপাতালের তৃণমূলপন্থী কিছু ডাক্তার, মেডিক্যাল অফিসার এবং ইন্টার্ন ক্লাসে ক্লাসে প্রচার চালাতে শুরু করেন বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয় এসএ। কলেজ ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এর পরেও মনোনয়নপত্র বিলির প্রথম দিনেই টিএমসিপি বহিরাগতদের নিয়ে এসে এসএ-র ছেলেদের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এসএ-র দাবি, সমর্থন পাওয়া যাবে না বুঝেই শেষ পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিয়েছে টিএমসিপি। এসএ-র সভাপতি জারা লাতিফ বলেন, “ওরা পেশিশক্তি দেখিয়েছিল। ছাত্রদের হুমকিও দিয়েছিল। কিন্তু, সকলে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাই টিএমসিপি সরে গিয়েছে।”এসএ-র দাবি মেনে নিচ্ছেন বাঁকুড়া মেডিক্যালের টিএমসিপি ইউনিটের ছাত্রেরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএমসিপি ইউনিটের এক নেতা বলেন, “আমাদের সংগঠন মজবুত নয়, সমর্থনও নেই। ফলে, ভোটে লড়ার মতো অবস্থা আমাদের নেই। তাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি।” যদিও এ কথা মানতে নারাজ তৃণমূল প্রভাবিত প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহকারী সম্পাদক জয়মাল্য ঘর। তিনি বলেন, “আমি ছাত্র থাকাকালীন এসএ করতাম। কারণ, আমরা মেডিক্যালে রাজনৈতিক প্রভাব চাইনি। টিএমসিপি-র ছেলেদেরও সেই কথাই বুঝিয়েছি।”

এ দিন জয় ঘোষণা হওয়ার পরে এস-এর ছাত্রেরা আবির নিয়ে বিজয় উল্লাসে মাতেন। মিছিল করে লোকপুর ক্যাম্পাস থেকে মেডিক্যাল কলেজের নতুন ভবনে যান।

nominations tmcp bankura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy