এই সব লোহার খুঁটি নিয়ে আপত্তি। —নিজস্ব চিত্র
গ্রামে ঢোকার রাস্তা আটকে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তারই জেরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। সম্প্রতি আদ্রার পাশে মাঝিডি গ্রামে ঢোকার রাস্তা লোহার খুঁটি পুতে বন্ধ করেছেন আদ্রার রেল কর্তৃপক্ষ। খুঁটি সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এখনও খুঁটি না সরানোয় রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
রেলশহর আদ্রার পাশেই আদিবাসী অধ্যুষিত মাঝিডি গ্রাম। প্রায় পঁয়তাল্লিশটি পরিবারের বাস সেখানে। বেশিরভাগই রেলকমী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তার উপরে লোহার খুঁটি বসিয়ে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রের খবর, আদ্রার ডিআরএমের নির্দেশ মতো সাউথ সেটেলমেন্ট এলাকায় অফিসার্স ক্লাবের পাশের রাস্তার উপরে সম্প্রতি লোহার খুঁটিগুলি বসানো হয়েছে। আর এতেই সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের ক্ষোভ, মূল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রামে কোনও বড় গাড়ি ঢুকতে পারছে না।
সম্প্রতি গ্রামের বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর করে লোহার খুঁটিগুলি সরানোর দাবি ডিআরএমের কাছে জানিয়েছেন। গ্রামবাসীদের মধ্যে পার্থ মান্ডি, সমীর হাঁসদা, লক্ষ্মণ হেমব্রম, সুনীল হাঁসদারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা গ্রামের লোকজন ব্যবহার করেন। গ্রামে ঢোকার অন্য রাস্তা কার্যত নেই। কিন্তু, হঠাৎ রেল কর্তৃপক্ষ এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।” গ্রামবাসীদের দাবি, রাতবিরেতে গ্রামে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত গ্রামে ঢুকতে পারবে না। আবার আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি ঢোকাও অসম্ভব। পাশাপাশি গ্রামে যাঁদের বড় গাড়ি রয়েছে, তাঁরাও গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাইরে বেরোতে পারবেন না। বস্তুত, সত্তরের দশকে রেল কর্তৃপক্ষই মাঝিডি গ্রামে যাওয়ার এই রাস্তাটি তৈরি করে দিয়েছিল। ফলে, আবার রেল কর্তৃপক্ষই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়াতে বিস্মিত বাসিন্দারা। তাদের ক্ষোভ, “হুট করে কেন রেল এই রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। রেল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করেও সদুত্তর মেলেনি।”
তবে, আদ্রার ডিআরএম অরবিন্দ মিত্তল জানান, রেল কলোনির বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ওই রাস্তাটি খুঁটি পুঁতে বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে বড় গাড়ি রেলের কলোনির রাস্তা দিয়ে ওই গ্রামে যাতায়াত করছে। ইতিমধ্যেই গ্রামে যাওয়া একটি গাড়ির ধাক্কায় এক শিশু জখম হয়েছে। রেলকর্মীদের একাংশের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই রাস্তাটি বন্ধ করা হয়েছে।” তবে লোহার খুঁটি বসানো হলেও সাইকেল বা মোটরবাইক নিয়ে গ্রামে যাতায়াতে সমস্যা হবে না বলে ডিআরএমের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy