Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সংরক্ষণের পথে ধুলুড়ির শঙ্খলিপি, অপেক্ষা শুরু

ব্লক প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ধুলুড়ি ঘুরে গেল রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের একটি দল। গ্রামের সপ্তম-অষ্টম শতকের শঙ্খলিপি সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে তারা। রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের অনুসন্ধান সহায়ক প্রকাশ চন্দ্র মাইতি বলেন, “সপ্তম-অষ্টম শতকের ওই শিলালিপিটি সংরক্ষণ করা দরকার। ফলে আমরা সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দেব।”

সম্প্রতি এই শিলালিপি পরিদর্শন করেন রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের দল।

সম্প্রতি এই শিলালিপি পরিদর্শন করেন রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁতুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫২
Share: Save:

ব্লক প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ধুলুড়ি ঘুরে গেল রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের একটি দল। গ্রামের সপ্তম-অষ্টম শতকের শঙ্খলিপি সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে তারা। রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের অনুসন্ধান সহায়ক প্রকাশ চন্দ্র মাইতি বলেন, “সপ্তম-অষ্টম শতকের ওই শিলালিপিটি সংরক্ষণ করা দরকার। ফলে আমরা সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দেব।”

ঘটনা হল, সাঁতুড়ির ওই লিপিটির বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানতে পেরে বিডিও দিব্যেন্দু শেখর দাস কয়েকমাস আগেই যোগাযোগ করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষনের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিষ্ণুপ্রিয়া বসাক ও লিপি বিশারদ রজত স্যানাল লিপিটি দেখে সেটিকে শঙ্খলিপি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন।

পরে লিপিটি পরিদর্শন করে যান ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষনের কলকাতার আঞ্চলিক বিভাগের একটি দল। বৃহস্পতিবার বিশ্রামজোড়ের পাশে এবার সেই লিপিটি পরিদর্শন করে গেলেন রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরেরও একটি দল।

এই লিপিটি ছাড়াও বৃহস্পতিবার ধুলুড়ি গ্রামেই প্রাচীন একটি দশভূজার মূর্তিও পরিদর্শন করে দলটি। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লিপিটি ঘুরে দেখার পরেই দলের সদস্যরা লিপিটির দ্রুত সংরক্ষণ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। বিডিও প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতর সংরক্ষনের বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করুক। তিনি বলেন, “সাঁতুড়িতে আসা রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন লিপিটির সংরক্ষণ প্রয়োজন। সেই মতো তাঁরা প্রকল্প তৈরি করবেন। আমরা বলেছি প্রয়োজনীয় অর্থ দিক রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতর। তাঁদের নির্দেশমত সেই অর্থে ব্লক প্রশাসন লিপিটি সংরক্ষণের কাজ করবে।”

এলাকার পুরাকীর্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক মাধব মণ্ডল। তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক কারণে লিপিটি ক্ষয়ে যাচ্ছে, ফলে রাজ্য পুরাতত্ত্ব দফতরের আধিকারিকদের আমরা জানিয়েছি লিপিটি সংরক্ষনের আশু প্রয়োজন। ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন লিপিটি সংরক্ষণ করতে উদ্যোগী হবেন।”

ঘটনা হল লিপিটি আগে আবিস্কার হলেও গত কয়েকমাস ধরে বিডিও দিব্যেন্দুশেখরবাবুর উদ্যোগেই লিপিটি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। এবার সেটি সংরক্ষণের প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও শুরু হওয়াতে আশার আলো দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আশা, লিপিটি সংরক্ষণ হলে ও ইতিহাস জানা গেলে এলাকায় পর্যটন বিকাশ পাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dhuluri sankhyalipi santuri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE