Advertisement
E-Paper

সংস্কার নিয়ে কাটল জট

শেষ পর্যন্ত টেন্ডার হল সাঁইথিয়া-ময়ূরাক্ষী নদীর নতুন ব্রিজের দু’প্রান্তের রাস্তা মেরামতের। জেলা পূর্ত দফতর সুত্রের খবর, ব্রিজের দক্ষিণে সাঁইথিয়া ইউনিয়ন বোর্ড মোড় পর্যন্ত ও উত্তরের মহম্মদবাজার ও কোটাসুরের দিকে যাওয়ার রাস্তা সংস্কারের জন্য ৮০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। তবে নতুন ব্রিজের সংস্কার এখন হচ্ছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:০৯
সাঁইথিয়া নতুন ব্রিজের বেহাল রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র

সাঁইথিয়া নতুন ব্রিজের বেহাল রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র

শেষ পর্যন্ত টেন্ডার হল সাঁইথিয়া-ময়ূরাক্ষী নদীর নতুন ব্রিজের দু’প্রান্তের রাস্তা মেরামতের। জেলা পূর্ত দফতর সুত্রের খবর, ব্রিজের দক্ষিণে সাঁইথিয়া ইউনিয়ন বোর্ড মোড় পর্যন্ত ও উত্তরের মহম্মদবাজার ও কোটাসুরের দিকে যাওয়ার রাস্তা সংস্কারের জন্য ৮০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। তবে নতুন ব্রিজের সংস্কার এখন হচ্ছে না।

ব্রিজের দু’ধারে যে রাস্তা দুটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে খানাখন্দে ভর্তি সেই রাস্তাগুলি। বিশেষ করে ব্রিজ থেকে ইউনিয়ান বোর্ড পর্যন্ত রাস্তার এমন বেহালদশা, যে ওই রাস্তায় পায়ে হেঁটে চলাও দায়। বিকল্প রাস্তা না থাকায়, রোজ স্কুল পড়ুয়া থেকে শয়ে শয়ে গাড়ি-বাস ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে বাধ্য হয়। মাঝে মধ্যেই গাড়ি ফেসে যায় খানা খন্দে। ফলে যান চলাচল থমকে যায় প্রায়ই। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। বাস ও গাড়ি মালিক ষষ্ঠী ঘোষ, পতিতপাবন দে, গাড়ি চালক জিন্না শেখ জানান, ব্রীজের দু’প্রান্তের রাস্তার বেহালদশায় গাড়ি চালানো দায়। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।

এলাকার দাবি, নতুন ব্রিজের অবস্থাও খুব খারাপ। ব্রিজের সর্বত্র খানা খন্দে ভরে গেছে। মিলন মণ্ডল বলেন, “দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তা ও সেতু সারানোর দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বর্ষার পর রাস্তা সারানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে রাস্তা বা সেতু সারানোর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। দেখা যাক রাস্তা সারানোর কাজ কবে শুরু হয়।” স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবজি রাম বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে সেতু ও রাস্তার বেহাল দশা। কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নাই। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। শুধু রাস্তা নয়, অবিলম্বে সেতুরও সংস্কার করতে হবে। না হলে,সেতু সারানোর দাবিতে জনস্বার্থে আন্দোলন এমনকী সেতু অবরোধ করার কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব।”

পূর্ত দফতরের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ দত্ত বলেন, “ব্রিজের দক্ষিণ ও উত্তর প্রান্তের রাস্তা সারানোর জন্য ইতিমধ্যেই ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেতুর কাজের এখনও টেন্ডার হয়নি। তবে, সেতুর খানা খন্দগুলি মেরামত করে দেওয়া হবে।”

sainthia road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy