Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সাতসকালের রেল অবরোধে যাত্রীদের হয়রানি

বন্ধ জুট মিল খোলার দাবিতে আজ সকাল ৯টা থেকে কল্যাণীতে রেল লাইন অবরোধে নামলেন বন্ধ কারখানার কর্মী এবং অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিকরা। বেসব্রিজ, হিন্দমোটর এবং বাউড়িয়ার মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলিতেও অবরোধ চলার কথা ছিল। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় বাউড়িয়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কল্যাণীতে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন আরপিএফ এবং পুলিশ কর্মীরা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

কল্যাণীতে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন আরপিএফ এবং পুলিশ কর্মীরা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ১২:৫৩
Share: Save:

সংযুক্ত সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্বে রেল অবরোধের কর্মসূচির কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তারই জেরে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে কোথাও ১০ মিনিট, কোথাও বা মিনিট পনেরো, আবার কোথাও আধ ঘণ্টার জন্য বিঘ্নিত হয় রেল পরিষেবা। সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিন সকালে ভরা অফিসটাইমে এই রেল অবরোধের ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বন্ধ জুট মিল খোলার দাবিতে নদিয়ার কল্যাণী, হাওড়ার বাউড়িয়া, হুগলির হিন্দমোটর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেসব্রিজ স্টেশনে রেল অবরোধের কথা আগেই জানিয়েছিলেন সংযুক্ত সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্ব। এ দিন সকাল থেকেই তাই ওই স্টেশনগুলিতে অবরোধের প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়। ঘড়ির কাঁটা ন’টার ঘর ছুঁতেই শুরু হয় অবরোধ। তবে, পুলিশ এবং আরপিএফের তত্পরতায় কিছু ক্ষণের মধ্যেই উঠে যায় অবরোধ। তত ক্ষণে যদিও বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে বেশ কিছু ট্রেন। এই স্টেশনগুলির উপর দিয়ে মূলত লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। কয়েকটির উপর দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেনও যায়। তবে, অফিসটাইমে এই অবরোধের ফলে যাত্রীদের হয়রানি হয়।

বাউড়িয়ায় রেল অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।

এ দিন সকাল ৯টা থেকে কল্যাণীতে রেল অবরোধ শুরু হয়। বন্ধ কারখানার কর্মী এবং অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিকরা এই অবরোধে সামিল হন। আরপিএফ এবং জিআরপির বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেখানে। তাদের মধ্যস্থতায় অবরোধকারীরা মিনিট পনেরোর মধ্যে অবরোধ তুলে নেন। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে আপ লালগোলা প্যাসেঞ্জার এবং ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেস। অন্য দিকে, গণ্ডগোলের আশঙ্কায় বাউড়িয়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে, সেখানেও অবরোধ বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। হিন্দমোটর স্টেশনে মিনিট কুড়ি অবরোধ হয়। এর জেরে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচল কিছু ক্ষণের জন্য ব্যহত হয়। অফিসটাইমে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক ট্রেন। তবে কিছু ক্ষণ পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সেই অবরোধ উঠে যায়। এ দিন সকালে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩০ জন অবরোধকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সংযুক্ত সংগ্রাম কমিটির তরফে অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রাজ্যের বন্ধ কলকারখানাগুলি শীঘ্রই খুলবে। কিন্তু, এই সরকার আমাদের ধোঁকা দিচ্ছে। এখন তো কারখান বন্ধের শোভাযাত্রা চলছে।’’ এ দিনের কর্মসূচি সফল বলে তিনি দাবি করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rail train strike howrah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE