Advertisement
১১ মে ২০২৪
Ram Mandir

রামপুজোর জৌলুস কাঁথি ও নন্দীগ্রামে

লকডাউন বিধি ভেঙে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের ‘গড়’ কাঁথির পাশাপাশি শুভেন্দুর বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামেও রামপুজোর আয়োজন হয়।

লকডাউন-বিধি ভেঙেই রামবন্দনার আয়োজন। বুধবার কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির অদূরে। নিজস্ব চিত্র

লকডাউন-বিধি ভেঙেই রামবন্দনার আয়োজন। বুধবার কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির অদূরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম ও কাঁথি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২০ ০২:২০
Share: Save:

অযোধ্যায় বুধবার রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তরের দিন ছিল রাজ্য সরকারের ঘোষিত লকডাউন। রাজ্য বিজেপির তরফে লকডাউনের দিন বদলে রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানানো হলেও দিন বদলায়নি। এই অবস্থায় লকডাউন-এর বিধি ভেঙেই রামপুজোয় মেতেছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাদের সঙ্গে তাল মেলালেন শাসক দল কথা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশও।

লকডাউন বিধি ভেঙে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের ‘গড়’ কাঁথির পাশাপাশি শুভেন্দুর বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামেও রামপুজোর আয়োজন হয়। কাঁথিতে পরিবহণ মন্ত্রীর বাড়ির কাছেই পুরোহিত ডেকে পুজোর পাশাপাশি বাজি ফাটানো হয়। পুজোর দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরা সকলেই শাসক দলের কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি ও সাংসদ শিশির অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাম কারও একার নন। যে যে ভাবে পেরেছেন, পুজো করেছেন। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’’

এ দিন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের মঙ্গলচক গ্রামেও রামের পূজার্চনা হয়। রাস্তার উপরে মণ্ডপ বেঁধে পুজো ও অকাল দেওয়ালিতে মেতে ওঠেন মানুষ। অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল নেতা পবিত্র কর। তাঁর দাবি, ‘‘আমি সনাতন সেনা নামে একটি ধর্মীয় সংগঠনের সভাপতি। তাই রামপুজোর আয়োজন করেছি।’’ কিন্তু লকডাউনে জমায়েত করা যাবে না নির্দেশ ছিল। পবিত্রর দাবি, ‘‘সরকার প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমার কাছে আগে ধর্ম, পরে দল।’’

বিধি ভেঙে শুভেন্দুর এলাকায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে এমন আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। এ নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) পার্থ ঘোষকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘‘ব্যস্ত আছি। পরে কথা হবে।’’

এ দিন আবার পুরুলিয়ায় আদ্রায় রামমন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তৃণমূলের আদ্রা শহর কমিটির সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। তাঁর দাবি, ‘‘রাম সমস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।” এর আগে রামনবমীর শোভাযাত্রা বা রাম পুজোয় তাঁকে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে শাসক দলের রামকে নিয়ে ‘মাতামাতি’তে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি (তমলুক) নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘সনাতন সেনা নামে কোনও ধর্মীয় সংগঠন বিজেপি কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেই। হিন্দুরা এ রাজ্যে একত্রিত হচ্ছে এটা শাসকদলের অনেক নেতাই বুঝে গিয়েছে। তারা বিজেপির পালে ভিড়তে চাইছে। তাই এ দিন বাধ্য হয়ে রাম পুজো করল।’’

পাল্টা জবাবে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘রাম কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। কে কোন দেবতার পুজো করবে সেটা কখনও দল ঠিক করে দেয় না। পবিত্র ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই পুজো করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ram Mandir Bhumi Puja BJP Nandigram Contai
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE