কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন এবং রেশন ডিলারদের প্রাপ্য পাওনা পেতে সাহায্য করুন। —প্রতীকী ছবি।
দেশের মানুষকে সুষ্ঠু ভাবে রেশন পরিষেবা দিয়েও ঠিক সময় কমিশনের টাকা পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনই অভিযোগ করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে কাঠগড়ায় তুলল দেশের রেশন ডিলারদের সংগঠন। চলতি মাসের ২৬ মে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বণ্টন মন্ত্রকের সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন’। সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, কুইন্টাল পিছু খাদ্যশস্য রেশন দোকান মারফত বিক্রি করলে ৯৫ টাকা করে কমিশন পাওয়ার কথা রেশন ডিলারদের। কিন্তু দু’মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও বেশির ভাগ রাজ্য খাদ্য দফতর প্রাপ্য টাকা তাদের দিচ্ছে না। অথচ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, এই অর্থ তাদের পাওয়ার কথা। এমনকি সেই অর্থ অগ্রিম পাওয়ার বিধানও জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে রয়েছে বলেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রেশন ডিলারেরা। খাদ্য সচিবকে পাঠানো এই চিঠিটি ভারত সরকারের খাদ্য ও বণ্টন বিষয়ক মন্ত্রকের মোট আট জন আধিকারিককে পাঠিয়েছেন রেশন ডিলারেরা।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, বহু বার এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও, তারা কোনও সুরাহা পাননি। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক এবং রেশন ডিলারদের প্রাপ্য পাওনা পেতে সাহায্য করুন। রেশন ডিলার সংগঠনের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘কুইন্টাল পিছু যে ৯৫ টাকা আমাদের পাওয়ার কথা, তা পশ্চিমবঙ্গ-সহ অনেক রাজ্যেই রেশন ডিলারদের দেওয়া হচ্ছে না। কেন দেওয়া হচ্ছে না, এ বিষয়ে কোন সদুত্তর আমাদের খাদ্য দফতরগুলি দেয়নি। এ ভাবে চলতে থাকলে আমাদের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, যাতে রাজ্য সরকারগুলি তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে, সেই বিষয়টিও দেখা।’’ রেশন ডিলারদের দাবি, কমিশনের টাকা দুই মাস বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরও কয়েক বেশি মাস আটকে রেখেছে খাদ্য দফতরগুলি। অথচ নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে দোকান চালানোর যাবতীয় খরচ বহন করতে হচ্ছে রেশন ডিলারদের। এমনটা চলতে থাকলে দেশে-রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আগে কেন্দ্র যেন তার দায়িত্ব পালন করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy