তিন দিন ধরে একের পর কম্পন আর আতঙ্ক। সাধারণ বাসিন্দা তো বটেই দার্জিলিং পাহাড়ে থাকা পর্যটকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ের ট্যুর অপারেটরেরা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যার ভূমিকম্পের তীব্রতা পাহাড়ে ভালই বোঝা যায়। তবে বুকিং বাতিলের তেমন খবর মেলেনি। অবশ্য যে পর্যটকেরা পাহাড়ে রয়েছেন, তাঁদের অনেকেই পাহাড় ছাড়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন। অনেকেই বিমান, ট্রেনের নির্ধারিত টিকিট বাতিল করে নতুন করে দ্রুত টিকিট কাটা যায় কি না, সেই খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। এদিনই, দার্জিলিঙের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ রোপওয়ে আগামী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ভূমিকম্পের আতঙ্কে বহু পর্যটককে ম্যাল চৌরাস্তায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, শৈলশহরে কয়েকটি স্কুল ছাড়া এত খোলা এলাকা নেই। আর স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় চৌরাস্তাকেই নিরাপদ হিসাবে বেছে নেন পর্যটক এবং বাসিন্দারা। একই ছবি সমতলের শিলিগুড়িতেও দেখা গিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর একই ছবি দেখা গিয়েছে। কলকাতার এক পর্যটক দেবাশিস রায় বলেন, ‘‘আতঙ্কেই রাত কেটেছে। স্ত্রীকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় বাইরেই ছিলাম। পরে হোটেলের খোলা অংশে অনেকক্ষণ সময় কাটাই। আবার এদিন কম্পন হয়। এখন ভাবছি ফিরে যাব।’’
ইস্টার্ন হিমলয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল জানান, দার্জিলিঙে কম্পন অনুভূত হলেও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। এদিনও বাসিন্দাদের সঙ্গে পর্যটকেরা সন্ধ্যায় হোটেল, লজ বা রিসর্টের বাইরে চলে এসেছিলেন। তবে পর্যটকদের মধ্যে একটা আতঙ্ক রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তবে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য আমরা বলছি। গুজব থেকেই বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।’’