কাজ করেন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িএবং কলকাতার নিউ টাউনে তিন-তিনটি ঝাঁ-চকচকে ফ্ল্যাট। তাঁর পেশাগত পদের সম্ভাব্য উপার্জন আর ব্যক্তিগত সম্পত্তির ‘অসামঞ্জস্য’ নিয়েই মূল প্রশ্ন ও সন্দেহ সিবিআইয়ের। সেই কনস্টেবল, তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন আপাতত সিবিআইয়ের হেফাজতে। তদন্ত সংস্থার দাবি, নথিপত্র যাচাই করে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির কোনওটাই পৈতৃক সূত্রে পাননি সেহগাল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরে সব তৈরি করেছেন।
শুধু ওই বাড়ি-ফ্ল্যাট নয়। সিবিআই ধৃত সেহগালের আরও যে-জমি, অন্যান্য সম্পত্তি, নগদ টাকা, গয়নার হদিস পেয়েছে, তার অনেকটাই গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকায় কেনা বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। তবে সিবিআই জানাচ্ছে, সেহগাল বেশির ভাগ সম্পত্তিই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে লিখিয়ে রেখেছেন। নিউ টাউনের তিনটি ফ্ল্যাটের মধ্যে দু’টি আছে স্ত্রীর এবং একটি পরিচারিকার নামে। সেই তিনটি ফ্ল্যাটে পাওয়া নগদ ও গয়নার অর্থমূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। গয়না শিশুকন্যার জন্মদিনে পেয়েছেন বলে দাবি করলেও নগদ টাকার উৎস সম্পর্কে সেহগাল সদুত্তর দিতে পারেননি বলেই সিবিআইয়ের দাবি।
সিবিআই জানিয়েছে, সেহগালের ডোমকলের বাড়ি থেকেও নগদ, কয়েক লক্ষ টাকার গয়না এবং প্রচুর সম্পত্তির দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সব নথি যাচাই করে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ সম্পত্তি মা ও স্ত্রীর নামে কিনেছিলেন সেহগাল।