রাজ্যের স্কুলশিক্ষকদের অনেকেরই প্রশিক্ষণ নেই। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ (বিএড)-এর জন্য স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বরও নেই অনেকের। এই অবস্থায় বেতন বৃদ্ধি আটকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রায় দু’হাজার স্কুলশিক্ষক। উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরও।
২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষককেই প্রশিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষকদের ২০১৯-এর মধ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে না-পারলে তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত হয়ে যাবে। শিক্ষক হিসেবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন তাঁরা। এই বিধির জন্যই সমস্যায় পড়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর।
ওই দফতর সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) পরীক্ষা নেওয়ার পরে শিক্ষক নিয়োগ হয় ২০১৩ সালে। তখন তাঁদের অধিকাংশেরই প্রশিক্ষণ (বিএড) ছিল না। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী হয়েছিল সরকার। কিন্তু ২০১৪ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) জানায়, বিএডের জন্য স্নাতক স্তরে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। কিন্তু অনেক শিক্ষকের সেই নম্বর নেই। এনসিটিই-র নিয়মবিধির গেরোয় থমকে গিয়েছে প্রশিক্ষণের প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক অজিত নায়েক বলেন, ‘‘দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মেটানোর প্রক্রিয়া চলছে।’’ সময়সীমার মধ্যে শিক্ষকেরা যাতে প্রশিক্ষণ শেষ করতে পারেন, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy