উরির সেনাছাউনিতে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতা রয়েছে দেশজুড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই উৎসবের মরসুমে এ বার বাড়তি নিরাপত্তার আয়োজন করেছেন রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের কর্তারা। নাশকতা এড়াতে সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী এবং ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। পুলিশের খবর, ভিড় সংক্রান্ত তথ্য এ বার পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলির কাছেও পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। ডিজি-র দাবি, কোনও ধরনের জঙ্গি হানার সতর্কতা নেই। তবে নিরাপত্তা আটোসাঁটো রয়েছে। লালবাজার সূত্রে বলা হচ্ছে, সাধারণ পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি নিরাপত্তায় থাকছে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স ও কম্যান্ডোরাও। সাগরে টহলদারি বাড়াচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনীও।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতায় প্রায় চার হাজার পুজো হয়। জেলাগুলির মোট পুজোর সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। জেলার পুজোগুলিতে নিরাপত্তার জন্য প্রায় ২ লক্ষ পুলিশকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবক মোতায়ন করা হয়েছে। থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। দমকল ও পূর্ত দফতরের সঙ্গেও সমন্বয় রাখা হবে বলে ডিজি জানান।
ডিজি জানান, এ বার চাঁদার জুলুম ঠেকাতেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জোর করে চাঁদা আদায়ের বড় মাপের অভিযোগ এ বার মেলেনি। যে ক’টি অভিযোগ এসেছে, তার সব ক’টিতেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই পুলিশকর্তারা বলছেন, কয়েক দিন আগেই লাটাগুড়িতে সিনেমার শ্যুটিং করতে গিয়ে চাঁদার জুলুমের শিকার হয়েছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীল। তিনি নবান্নে ঘটনাটি জানালে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy