দরপত্র-বিতর্কে দীর্ঘ ২২ মাস থমকে আছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উৎপাদন। অবশেষে কলকাতা মেট্রোর কোচ নির্মাতা দুই সংস্থার হাত ধরেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ওই সেমি হাইস্পিড ট্রেন তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। রেল সূত্রের খবর, ওই ট্রেন ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। তার কামরায় স্বয়ংক্রিয় দরজা, ভেস্টিবিউলে সেন্সর নিয়ন্ত্রিত কাচের স্লাইডিং দরজা এবং বিমানের ধাঁচে ভ্যাকুয়াম টয়লেট আছে।
দমদম-নোয়াপাড়া মেট্রোয় সম্প্রতি নীল এবং ছাই রঙের যে-সব নতুন রেক ছুটছে, সেগুলি চেন্নাইয়ে কেন্দ্রের অধীন ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি এবং হায়দরাবাদের বেসরকারি সংস্থা মেধা সার্ভো ড্রাইভের মিলিত প্রয়াসে তৈরি। মেট্রোর রেকের মোটর-সহ নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম (যা একত্রে প্রপালশন নামে পরিচিত) তৈরি করেছে মেধা। আর ট্রেনের কোচ, দরজা, বাতানুকূল ব্যবস্থা ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির অবদান।
প্রায় একই ধাঁচে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হবে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
বেশ কয়েক বার টেন্ডার বা দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ার পরে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম ট্রেন তৈরির বরাত পেয়েছে মেধা। সেই কাজ হবে ৪৪টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রপালশন, কোচের নকশা এবং প্রোটোটাইপ রেকের উৎপাদন শুরুর আগেই। উন্নততর ট্রেন তৈরির স্বার্থে নতুন ট্রেনের কোচের নকশাতেও বেশ কিছু বদলের সুপারিশ করেছে রেলের গবেষণা সংস্থা রিসার্চ, ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন বা আরডিএসও। রেলকর্তারা জানান, ওই সুপারিশ মেনেই ট্রেনের কোচের নতুন নকশা তৈরি করবে মেধা।