—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। জরুরি পরিস্থিতি ছাড়াও রক্তের অসুখে আক্রান্ত রোগীরাও প্রয়োজনে রক্ত বা রক্তের উপাদান সহজে পান না বলে অভিযোগ। সেই ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে রাজ্য থেকে শুরু করে জেলা, মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যান্য স্তরের হাসপাতালের জন্য একাধিক কমিটি গড়ল স্বাস্থ্য দফতর।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাপনার রাজ্য কমিটির চেয়ারপার্সন হয়েছেন এসএসকেএমের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালি। জেলা স্তরে জেলাশাসক, মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে সেখানকার অধ্যক্ষ ও অন্যান্য হাসপাতালের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সুপারদের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রক্তের অপব্যবহার করা যাবে না। আবার প্রয়োজনে রক্ত মিলছে না, এমন যাতে না হয়, সে দিকেও কড়া নজর দিতে হবে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগী, প্রসবের পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া প্রসূতি, অস্ত্রোপচার বা থ্যালাসেমিয়া, সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো রক্তের অসুখে ভোগা রোগীদের বাঁচানোর স্বার্থেই রক্ত ও রক্তের উপাদানের যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। পাশাপাশি, তাঁরা এটাও জানাচ্ছেন যে, সামগ্রিক রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাপনা কিংবা আঞ্চলিক রক্ত সঞ্চালন কেন্দ্র, ব্লাড ব্যাঙ্ক বা ট্রমা কেয়ারে রক্ত ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক চলছে কি না, সে সব দেখার জন্য সব সময়ে প্রশিক্ষিত লোক মেলে না।
কিন্তু নতুন কমিটিগুলি যদি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে, তা হলে সুবিধা হবে বলেই দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ব্লাড ব্যাঙ্ক সচল থাকা, রক্তদান আন্দোলনে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করা-সহ গুণগত মানও যাতে বজায় থাকে, সেই রকম একগুচ্ছ নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy