আলাদা জমি লাগবে না। মিলবে সৌর বিদ্যুৎ। বাড়তি লাভ, বাঁচবে খালের জল! তিস্তা ক্যানেলের উপরে এমনই একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ক্যানালের উপরে লোহার খাঁচা তৈরি করে তার উপরে বসবে সোলার প্যানেল। লক্ষ্য, ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া। প্রকল্পটি রাজ্য সরকার অনুমোদন করেছে। এই ধরনের প্রকল্পের সুবিধে হচ্ছে আলাদা করে জমির ব্যবস্থা করতে হবে না। খালটি দৈর্ঘ্যে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। চওড়ায় ৫০ মিটারের মতো। পুরো খালটিই কার্যত সোলার প্যানেলে ঢাকা পড়ে যাবে। জলে সরাসরি সূর্যের আলো না পড়ায় রোদের তাপে জলের বাষ্প হয়ে উবে যাওয়াও কমবে।
এর আগে তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের (ফেজ-টু) লাগোয়া ক্যানালের ধারের জমিতে ১০ মেগাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। গত অগস্টে তার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে প্রকল্পটি থেকে ৯০ লক্ষ ইউনিট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। নতুন প্রকল্পটির জন্য আর জমির ব্যবস্থা করতে হবে না। বিদ্যুৎ শিল্পের ভাষায় একে ‘ক্যানাল টপ’ সৌর প্রকল্প বলা হয়। গুজরাতে বেশ কিছু সেচ খালের উপরে এমন সৌর প্রকল্প গড়া হয়েছে আগেই। রাজ্যে এটিই হবে প্রথম ‘ক্যানাল টপ’ সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।
বণ্টন সংস্থার এক কর্তা জানান, প্রকল্পটি গড়তে খরচ হবে ৮৮ কোটি টাকার মতো। রাজ্য ৬২ কোটি টাকা দেবে। বাকি অর্থের জন্য কেন্দ্রের অচিরাচরিত শক্তি মন্ত্রককে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, পশ্চিমাঞ্চলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা হচ্ছে। রাজ্যের অন্যত্রও সরকারি ভবন, স্কুল-কলেজের ছাদে ছোট সৌর প্রকল্প গড়ে তোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy