Advertisement
১৮ মে ২০২৪

মন্ত্রীকে কালো পতাকা কিছু পড়ুয়ার

এ দিন বিক্ষোভ দেখায় কলা বিভাগের ছাত্র সংগঠন ফোরাম ফর আর্টস স্টুডেন্টস (ফ্যাস) এবং এসএফআই। শিক্ষামন্ত্রী পরে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং আন্তর্জাতিক অতিথিশালার উদ্বোধনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কটাক্ষ করেন বিক্ষোভকারীদের। বলেন, ‘‘এখানে ছোট ঝড় দেখলাম।

ছাত্রছাত্রীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

ছাত্রছাত্রীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫০
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার তিনি গিয়েছিলেন ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং আন্তর্জাতিক অতিথিশালার উদ্বোধনে। গিয়েই ছাত্রছাত্রীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পড়ুয়ারা তাঁকে কালো পতাকাও দেখান।

এ দিন বিক্ষোভ দেখায় কলা বিভাগের ছাত্র সংগঠন ফোরাম ফর আর্টস স্টুডেন্টস (ফ্যাস) এবং এসএফআই। শিক্ষামন্ত্রী পরে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং আন্তর্জাতিক অতিথিশালার উদ্বোধনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কটাক্ষ করেন বিক্ষোভকারীদের। বলেন, ‘‘এখানে ছোট ঝড় দেখলাম। কুলোর বাতাস দিয়ে ঝড় তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে! মন্ত্রী এল ক্যাম্পাসে আর কালো পতাকা দেখাব না, তা তো হয় না!!’’ এর পরেই শিক্ষামন্ত্রী শ্লেষের ভঙ্গিতে জানান, যাদবপুর ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ধরে নিয়েছেন, তাঁরা যা বলবেন, তা-ই বলবেন বাকিরা। ‘‘দু’চারটি গোর্খা পড়ুয়া কি না জানি না, তাদের নিয়ে যাদবপুরের পড়ুয়ারা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মিছিল করছে। এরা কি পাহাড়ে থাকে? নাকি সংবিধান জানে না,’’ প্রশ্ন মন্ত্রীর। তাঁর মতে, এই ধরনের কাজকর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিই নষ্ট হয়।

ছাত্রছাত্রীরা এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ, সেন্ট জেভিয়ার্সের মডেলে রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর অনুযোগ, এই সব ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে কখনও অভিযোগ জানান না। অভিযোগ থাকলে আলোচনার টেবিলে বসুন। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এরা আন্দোলন করে-টরে বিলেতে চলে গিয়ে মহানন্দে টাকা উপার্জন করে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘কয়েক জন ছাত্র যদি সুমহান ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করতে চায় আর তাদের কথায় যদি সায় দেওয়া হয়, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যাবে না। সাহসের সঙ্গে কথা বলেই এই প্রবণতা থামাতে হবে।’’

শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দেন, অবিলম্বে শূন্য শিক্ষক-পদ পূরণ করতে হবে। মঞ্চে উপস্থিত উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রীকে। সল্টলেক ক্যাম্পাসের জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজনের কথাও তোলেন। উপাচার্যের আর্জি মেটানোর আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে যাদবপুরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন খাতে বরাদ্দ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, যে-টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা খরচ করা হোক। তার পরে দেখা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE