বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে একদা তাঁর বাংলা দৈনিকেই পরের পর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অথচ তার কিছু দিন পরেই সেই সৃঞ্জয় বসুই বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মাসিক ৬০ লক্ষ টাকার চুক্তি করেন। এমন চুক্তির কারণ কী, তা নিয়ে রবিবার দফায় দফায় জেরা করা হয় তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয়কে।
সিবিআই গত শুক্রবার ওই সাংসদকে গ্রেফতার করেছে। তার পর থেকেই তাঁকে বারংবার জেরা করে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন, ওই চুক্তির নেপথ্যে কে বা কারা আছেন? সিবিআই সূত্রের খবর, জেরার জবাবে সৃঞ্জয় বারে বারেই জানিয়েছেন, সারদার মিডিয়ার সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছিল মূলত কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায়। দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদ কুণাল অবশ্য তদন্তকারীদের বলে এসেছেন, মূলত সৃঞ্জয়ই জোর করে ওই চুক্তি করিয়েছেন। এই অবস্থায় ওই দুই সাংসদকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবছেন তদন্তকারীরা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার প্রায় ১৫টি প্রশ্ন নিয়ে সৃঞ্জয়ের সামনে বসেছিলেন তদন্তকারীরা। ঘুরিয়েফিরিয়ে ওই চুক্তি সম্পর্কে সৃঞ্জয়ের সঙ্গে বিস্তারিত ভাবে কথা বলেন তাঁরা। জানতে চাওয়া হয়েছে, যে-সব ক্ষেত্রে ‘সাহায্য’ করার জন্য চুক্তি করা হয়েছিল, সেগুলো ঠিক কী?