সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য জিএসটি মানতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু নতুন কর চালুর পর সাধারণ মানুষের যে অসুবিধা হচ্ছে, তার বিরোধিতা বজায় থাকবে বলে মঙ্গলবার বিধানসভায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হল নোট বাতিল এবং জিএসটি চালু।’’
পাশাপাশি যে অবস্থায় কেন্দ্র নতুন কর চালু করেছে, তার দায় এমপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে তৎকালীন বাম জমানার অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তর উপর চাপিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার যুক্তি, ‘‘অমিত মিত্র এমপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান বেশি দিন ছিলেন না। লোকসভায় বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর এই কমিটির কোনও মূল্য নেই। জিএসটি কাউন্সিলই সব ক্ষমতার অধিকারী। ফলে অমিতবাবুর কোনও দায় নেই।’’ এ কথা শুনে অবশ্য বামেরা বিধানসভার মধ্যেই প্রতিবাদ করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানান, জিএসটি কাউন্সিলে কার্যত একা লড়াই করেছেন অমিত মিত্র। প্রথম দিকে তামিলনাডু কিছুটা সমর্থন করলেও জয়ললিতার মৃত্যুর পর কার্যত একা হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গ। ৩১ সদস্যের মধ্যে একা কোনও আপত্তি তুলে পাশ করানো যায় না।
তা সত্ত্বেএ কী ভাবে তিনি লড়াই চালিয়েছেন তা জানাতে এ দিন জবাবি ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর জবাবের আগেই মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে কিছু বলতে চান। কারণ, জিএসটি মেনে নেওয়ার জন্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিলেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী।