—প্রতীকী ছবি।
মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সুরাহার জন্য রয়েছে পুলিশের একাধিক হেল্পলাইন নম্বর। যা নিয়ন্ত্রণ করা হয় পৃথক জায়গা থেকে। এ বার সব হেল্পলাইন নম্বরকে এক ছাতার তলায় আনতে চলেছে রাজ্য পুলিশ।
সূত্রের খবর, এর জন্য তৈরি করা হচ্ছে ‘ইন্টিগ্রেটেড হেল্পলাইন কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’। যা কাজ করবে রাজ্য সাইবার ক্রাইম উইং বা সাইবার অপরাধ শাখার অধীনে। ওই শাখা তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই ওই রাজ্য সাইবার শাখার মাথায় এডিজি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে আইপিএস অফিসার হরি কিশোর কুসুমাকারকে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, বর্তমানে রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইন হিসেবে রয়েছে ডায়াল ১০০। যাতে যে কোনও প্রান্ত থেকে সাহায্যের জন্য যে কেউ ফোন করতে পারেন। নারী সুরক্ষার জন্য রয়েছে ১০৯১ ডায়াল। ১০৯৮ এই নম্বরে ফোন করে শিশু সংক্রান্ত যে কোনও রকম সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। ট্র্যাফিক সংক্রান্ত কোনও বিষয় পুলিশকে জানানোর জন্য রয়েছে ১০৭৩ ডায়াল। আবার বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য রয়েছে ১০৮। দমকলের জন্য রয়েছে ১০১। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই হেল্পলাইন গুলি নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু সমন্বয় বজায় রাখার জন্য সবগুলিকেই রাজ্য সাইবার শাখার অধীনে আনা হচ্ছে বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর। যার মূল অফিস হচ্ছে নিউটাউনে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই প্রস্তাব পাঠানো হলে তা মঞ্জুর হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত ‘ইন্টিগ্রেটেড হেল্পলাইন কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’-এ সাহায্য চেয়ে যা ফোন আসবে তা কোন থানা এলাকার তা জেনে নিয়ে সেখানকার
স্থানীয় পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট জায়গাতে পৌছে যাবে প্রয়োজনীয় বার্তা। যাতে তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে পারে। ভবানীভবন সূত্রের খবর, সদ্য গঠিত রাজ্য সাইবার থানার অধীনে নিয়ে আসা হবে জেলায় থাকা সাইবার থানাগুলিকেও। এ ছাড়া সিআইডির অধীনে থাকা সাইবার ফরেন্সিক ল্যাব, সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নজরদারি চালানোর জন্য থাকা সাইবার পেট্রল, সাইবার সিকিয়োরিটি, সাইবার ডেটা সেলের মতো বিভাগও রাজ্য সাইবার শাখার অন্তর্গত হবে। রাজ্য পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া সেলকেও ওই নতুন শাখার অধীনে আনা হবে। আপাতত এডিজি নিয়োগ করা হলেও প্রস্তাব রয়েছে সাইবার ক্রাইম উইং-এ দু’জন আইজি, দু’জন ডিআইজি এবং চারজন এসপিকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy