প্রতীকী ছবি।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্কুল খোলার আগের দিনেও অফলাইন ও অনলাইন ক্লাস নিয়ে বিভ্রান্তি কাটেনি। আজ বৃহস্পতিবার সরকারি, সরকার পোষিত স্কুলগুলির সঙ্গে বেসরকারি স্কুলও (অষ্টম থেকে দ্বাদশ) খুলছে। অনেক বেসরকারি স্কুল জানিয়েছে, অফলাইন ক্লাসের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসও চলবে। বিভ্রান্তি এখানেই।
বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস একসঙ্গে চলার কথা বললেও বুধবারেও তাদের কাছে সেই দুই মোডের রুটিন স্পষ্ট নয়। অভিভাবকদের একাংশের প্রশ্ন, কেউ যদি অনলাইনে ক্লাস করতে চায়, অফলাইনে এখনই যেতে না-চায়, তার ক্ষেত্রে কী হবে? কী হবে সেই অনলাইন ক্লাসের রুটিন?
রামমোহন মিশন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, যে-দিন যে-শ্রেণির অফলাইন পাঠ হবে, সে-দিন আর অনলাইন ক্লাস হবে না। কবে অনলাইন ও কবে অফলাইন ক্লাস হবে, সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। সাউথ পয়েন্ট স্কুল কর্তৃপক্ষও একই কথা জানান।
বার্ষিক পরীক্ষা অনলাইনে হবে, না, অফলাইনে— বহু স্কুল সেটাও পরিষ্কার করে জানায়নি বলে অভিযোগ। অভিভাবকদের একাংশের বক্তব্য, অষ্টম শ্রেণির বেশির ভাগ পড়ুয়ার করোনা টিকা হয়নি। তাই অনেক অভিভাবক এখনও এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের পক্ষে।
পড়ুয়ারা কী ভাবে স্কুলে যাবে, প্রশ্ন উঠছে সেই বিষয়েও। অনেক অভিভাবক জানাচ্ছেন, এত দিন স্কুল বন্ধ থাকায় তাঁরা স্কুলবাস থেকে ছেলে বা মেয়ের নাম কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা আবার সেই পরিষেবা পেতে চান। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকেই সেই পরিষেবা পাওয়া যাবে কি না, তার উত্তর নেই। সাউথ পয়েন্ট স্কুল জানায়, যে-সব পড়ুয়ার স্কুলবাস পরিষেবা আছে, তারা আজ থেকেই ফের তা পাবে। কিন্তু যাদের নাম নেই, তাদের ফের আবেদন করতে হবে। একই কথা বলেছেন ডিপিএস রুবি পার্ক কর্তৃপক্ষও। এক অভিভাবকের প্রশ্ন, বাস পরিষেবা ফিরে পাওয়ার আগে তাঁর সন্তান কী ভাবে স্কুলে যাবে?
যারা বেসরকারি স্কুলবাস বা পুলকারে যাতায়াত করে, তারাও আজ থেকে স্কুলে যাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। বেসরকারি স্কুলবাস ও পুলকার সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, কোন রুটে কত পড়ুয়া বাস বা পুলকার ব্যবহার করছে, সেটা দেখেই তারা গাড়ি নামাবে। স্কুলবাস ও পুলকার সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার বলেন, “এমনিতেই সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলেনি বলে পুলকার বা বাস ব্যবহারকারী পড়ুয়া খুব কম। অনেক অভিভাবক এখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগই করেননি। যাঁরা যোগাযোগ করছেন, তাঁদের ছেলেমেয়েরা যাতে স্কুলে যেতে পারে, তার বেযবস্থা করার চেষ্টা চলছে। সোমবার থেকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy