Advertisement
E-Paper

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের ছ’নম্বর নয়, হাই কোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ছ’নম্বর দিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন প্রাথমিকেরই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫৯
image of Supreme Court

সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট)-য় ছ’টি ভুল প্রশ্নে পরীক্ষার্থীদের ছ’নম্বর করে দিতে হবে। সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৪ সালে টেটে ছ’টি প্রশ্নে ভুল ছিল। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ছ’নম্বর দিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন প্রাথমিকেরই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল এএস বোপান্না এবং পিএস নরসিমহার বেঞ্চ।

২০১৪ সালের টেটে ছ’টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে— এই অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটি জানায়, ছ’টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এর পরে বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র যাঁরা ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ‘নেগেটিভ মার্কিং’য়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন।

বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। সেখানে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শুধু মামলাকারী নয়, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, সকল প্রার্থীকে ছয় নম্বর দিতে হবে। ওই সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেও এ ধরনের অনেক মামলা ওঠে। তিনিও নির্দেশ দেন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, সকলকে ছয় নম্বর দিতে হবে। এই ছয় নম্বর পাওয়ার ফলে অনেকেই টেটে উত্তীর্ণ হন, যাঁরা আগে হননি। গত জুলাই মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, এই ছয় নম্বর পাওয়ার ফলে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরাও এ বার চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তিন মাসের মধ্যে ওই টেট উত্তীর্ণ ছয় নম্বর দিয়ে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে।

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ২০ লক্ষ। পাশ করেছিলেন এক লক্ষ ২৫ হাজার জন। প্রাথমিকেরই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। সেই মামলায় হাই কোর্টের রায়ে সোমবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Supreme Court Calcutta High Court Recruitment Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy