ছবি: সংগৃহীত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার দায়ে গ্রেফতার হওয়া হাওড়ার বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী প্রিয়াঙ্কা শর্মা জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। কাল তাঁর আর্জির শুনানি হবে।
শুক্রবার প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নিউইয়র্কের মেট গালা অনুষ্ঠানের একটি ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বসানো ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পরেই তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাস হাজরা দাশনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কার নামে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ দিন বাংলার যুব মোর্চার নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলের নেতা প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘ফেসবুকে একটি মামুলি পোস্টের জন্য তৃণমূল সরকার প্রিয়াঙ্কাকে ১৪ দিন জেলে পাঠিয়েছে। অথচ ওদের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এর থেকে অনেক বেশি খারাপ পোস্ট করেও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’
সুপ্রিম কোর্টে এখন গরমের ছুটি চলছে। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চে আজ আইনজীবী নীরজকিষণ কউল প্রিয়াঙ্কার জামিনের আর্জি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানান। তিনি বলেন, হাওড়া কোর্টে আইনজীবীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ধর্মঘটের জন্য গোটা রাজ্যে আইনি কাজকর্ম বন্ধ। ফলে প্রিয়ঙ্কার সামনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। বিচারপতিরা কাল মামলার শুনানিতে রাজি হন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় অবমাননা এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারায় আপত্তিজনক ছবি ও ৬৭এ ধারায় যৌনতায় ভরা ছবি ছড়ানোর মামলা করা হয়েছে। ৬৭এ ধারায় অপরাধ জামিন-অযোগ্য। কউলের যুক্তি, যদি অবমাননার মামলা দায়ের করতে হয়— তা হলে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ দায়ের করতে হত। তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা সুপ্রিম কোর্ট নিজেই বাতিল করে দিয়েছে। ৬৭এ ধারা এখানে খাটে না। কারণ ওই ছবিতে যৌনগন্ধী কিছু নেই। আইনজীবীদের মতে, এখন সব কিছুই সুপ্রিম কোর্টের উপর নির্ভর করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy