আদালত চত্বরে ফের আক্রান্ত সুশান্ত ঘোষ। দাসেরবাঁধ কঙ্কাল উদ্ধার মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে গিয়ে মেদিনীপুর আদালত চত্বরে মার খেলেন সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত।
২০০২ সালে কেশপুরে সাত জন তৃণমূল কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন শাসক দল সিপিএমের বিরুদ্ধে। তাঁদের দেহ অবশ্য দীর্ঘ দিন খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুশান্ত ঘোষের নির্দেশেই ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে তৃণমূলের অভিযোগ। ২০১১ সালে গড়বেতার দাসেরবাঁধ এলাকায় মাটি খুঁড়ে ৭টি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। যে তৃণমূল কর্মীরা ২০০২ সালে নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাঁদের পরিজনরা অভিযোগ করেন, কঙ্কালগুলি ওই তৃণমূলকর্মীদেরই। নিখোঁজ তৃণমূলকর্মী অজয় আচার্যের ছেলে শ্যামল আচার্য কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তোলেন। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, ওই দেহগুলির মধ্যে একটি শ্যামলের বাবা অজয় আচার্যেরই। ২০০২ সালে অজয়বাবুদের সঙ্গেই নিখোঁজ হন রাজু সিংহ নামে আরও এক তৃণমূল কর্মী। একটি কঙ্কাল রাজু সিংহের বলেও শনাক্ত হয়। তবে বাকিগুলি শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন:
গৃহযুদ্ধ চাইছে না জোট, তবে লড়াই পথে নেমে
২০১১ সালের জুন মাস থেকেই ওই মামলা চলছে মেদিনীপুর আদালতে। সুশান্ত ঘোষ অন্যতম অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার শুনানির তারিখ ছিল। আদালতে হাজিরা দিতে যান সুশান্ত। শুনানি শেষে সিপিএম নেতা যখন আদালত চত্বরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনই খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী রাজু সিংহের বাবা মনোরঞ্জন সিংহ সুশান্তকে আক্রমণ করেন। আচমকা সামনে এসে তিনি ঘুসি মারেন সুশান্ত ঘোষকে। এর পরও বেশ কয়েকটি ঘুসি চালান মনোরঞ্জন। কিন্তু সুশান্ত পিছনে সরে গিয়ে কোনওক্রমে আঘাত এড়ান। ততক্ষণে পুলিশ ছুটে এসে ধরে ফেলে মনোরঞ্জন সিংহকে। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সুশান্ত ঘোষকেও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালত চত্বর থেকে বার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এই প্রথম বার অবশ্য আক্রান্ত হলেন না সুশান্ত ঘোষ। ২০১২ সালেও মেদিনীপুর আদালত চত্বরে হামলা হয়েছিল তাঁর উপরে। সে বার জুতো দিয়ে মারা হয়েছিল তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy