পরীক্ষার হলে টোকাটুকি রুখতে নজরদার শিক্ষক-শিক্ষিকারা থাকেন। গবেষণাপত্রে নকলবাজি ঠেকাতে এ বার প্রাযুক্তিক নজরদারের দ্বারস্থ হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠানে ‘টার্নিটিন’ নামে একটি সফ্টওয়্যারের ব্যবহার শুরু হয়েছে। কোন গবেষণাপত্রে অন্য গবেষকের কাজ কতটা চুরি করা হয়েছে, তা চিহ্নিত করে দেবে এই সফ্টওয়্যার।
প্রতি বছরই অন্যের কাজ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে বহু গবেষকের বিরুদ্ধে। উচ্চশিক্ষায় এই চৌর্যবৃত্তির মোকাবিলায় আরও কঠোর হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কী ভাবে এই বিষয়ে আরও কড়াকড়ি করা যায়, ইতিমধ্যেই কমিটি তৈরি করে সেই বিষয়ে খসড়া বিধি তৈরি করা হয়েছে।
গবেষণাপত্রে চুরির মোকাবিলায় প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। প্রেসিডেন্সি এখন টার্নিটিনের বদলে ইউজিসি-র সফ্টওয়্যার ‘উরকুন্ড’ ব্যবহার করে। উরকুন্ড চালু হয়েছে যাদবপুরেও। সেই সঙ্গে আরও আধুনিক ‘আইথেন্টিকেট’ সফ্টঅয়্যার ব্যবহারের কথাও চলছে। বারাসতের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও পিএইচডি-র যাবতীয় গবেষণাপত্র টার্নিটিন দিয়ে যাচাই করিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:জেল থেকেও চালাব পুরসভা: আনিসুর
ইউজিসি-র খসড়া বিধিতে বলা হয়েছে: কোনও পড়ুয়ার গবেষণাপত্রের বিষয়বস্তুতে অন্য গবেষকের কাজের দশ থেকে চল্লিশ শতাংশ মিল থাকলে সেই পত্র বদলে ছ’মাসের মধ্যে নতুন গবেষণাপত্র জমা দিতে হবে। কোনও শিক্ষকের গবেষণার ক্ষেত্রে এই হারে নকলবাজির প্রমাণ মিললে এক বছর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে দেওয়া হবে না। গবেষণাপত্রে ৬০ শতাংশের বেশি মিল থাকলে পড়ুয়া-গবেষকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। আর শিক্ষক-গবেষকদের ক্ষেত্রে তিন বছর পর্যন্ত গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে দেওয়া হবে না। এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-গবেষক তিন বছর কোনও গবেষকের সুপারভাইজার হতে পারবেন না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিতর্কিত গবেষণাপত্র বাতিল হবে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইউজিসি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গবেষণাপত্র ‘ডিজিটাইজড’ করতে উদ্যোগী হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি গবেষণাপত্র জমা দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy