Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Swasthya Sathi

সন্দেশখালিতে জোর লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে

সন্দেহখালি ১ ব্লকে পঞ্চায়েত ৮টি। পরিবারের সংখ্যা ৪৭ হাজার। নারায়ণ জানান, এই ব্লকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে ২৩ হাজার ৭২১টি পরিবারের। লক্ষ্মীর ভান্ডার পান ৪০ হাজার ১৭২ জন।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:২৫
Share: Save:

‘সন্দেশখালি ক্ষত’ মেরামতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে শাসকদল এবং প্রশাসন। ভূমি দফতরে ‘রেকর্ড’ না-থাকা এখানকার পাট্টাজমি ‘রেকর্ড’ করানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা পরিষদ। আরও একধাপ এগিয়ে এ বার লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, মৎস্যজীবী কার্ডের মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এখানকার দু’টি ব্লকের আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল প্রশাসন।

প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ন্যাজাটে সন্দেশখালি ১ ব্লক অফিসে ব্লকের উন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে জেলা প্রশাসন ও জেলা সভাধিপতির উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সংখ্যা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের উপভোক্তার সংখ্যা এবং মৎস্যজীবীদের সরকারি কার্ডের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘আর কয়েক দিনের মধ্যে সন্দেশখালি ২ ব্লকেও এমন বৈঠক হবে। সেখানেও গ্রামবাসীদের আরও বেশি করে সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।’’

এ দিনের বৈঠকে নারায়ণ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পিনাকীরঞ্জন বিশ্বাস, জেলা মৎস্য দফতরের আধিকারিক পার্থসারথি কুন্ডু, জেলা প্রাণিসম্পদ ও কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। এ ছাড়াও একাধিক পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, ব্লকের উন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক মূলত মাসে এক বার করে হয়। বিডিও সেই বৈঠক ডাকেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে। কিন্তু এ বার সন্দেশখালির বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ বৈঠক হল।

সন্দেহখালি ১ ব্লকে পঞ্চায়েত ৮টি। পরিবারের সংখ্যা ৪৭ হাজার। নারায়ণ জানান, এই ব্লকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে ২৩ হাজার ৭২১টি পরিবারের। লক্ষ্মীর ভান্ডার পান ৪০ হাজার ১৭২ জন। ব্লকের বাসিন্দাদের অন্যতম জীবিকা মাছ চাষ ও পশুপালন। কিন্তু বেশিরভাগ মৎস্যজীবীর সরকারি কার্ড (এফসিআর) নেই বলে অভিযোগ। ফলে, তাঁরা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। মাছ ধরার সরঞ্জাম, সাইকেল বা সরকারি ঋণ তাঁরা পান না।

নারায়ণ বলেন, ‘‘ব্লকের মোট মৎস্যজীবীর তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশের ‘মৎস্যজীবী কার্ড’ আছে। জেলা মৎস্য আধিকারিককে বলা হয়েছে এলাকায় শিবির করে দ্রুত ওই কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।’’ এক মৎস্যজীবীর কথায়, ‘‘কার্ড না থাকায় ৬০ বছর পর মৎস্যজীবী পেনশন পাই না। ৬০ বছর বয়সের আগে কোনও মৎস্যজীবী মারা গেলে তাঁর পরিবারকে সরকার ২ লক্ষ টাকা দেয়। কার্ড না থাকায় এ সব আমরা পাই না।’’

তবে, ব্লকের সামগ্রিক উন্নয়নে খুশি জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের কর্তারা জানান, উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে ব্লক প্রশাসন ৬৪ শতাংশ টাকা খরচ করতে পেরেছে। যা সন্তোষজনক। শীঘ্রই এখানকার ১০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ছাগল ও বাছুর দেওয়া হবে।

বিরোধীরা অবশ্য এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। তাঁদের বক্তব্য, শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বুঝতে পেরে তৃণমূল ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে চাইছে। এতে কোনও লাভ হবে না বলে তাঁদের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Swasthya Sathi Mamata Banerjee TMC sandeshkhali
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE