হিমঘর কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বৈঠকে মন্ত্রী বেচারাম মান্না। নিজস্ব চিত্র।
পুজোর আগে রাজ্যের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের কয়েক হাজার চুক্তিভিক্তিক কর্মচারী ও হিমঘরে নিযুক্ত শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করল শ্রম দফতর। সোমবার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের জন্য মন্ত্রী বেচারাম মান্নার উপস্থিতিতে ওইচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর মঙ্গলবার হিমঘরে নিযুক্ত শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির জন্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করা হল।হিমঘরের শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত অগস্ট মাসে। শ্রমিকদের তরফে২৪৯ টাকা বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিগত চুক্তির তুলনায় প্রায় ৬০০ হিমঘরে কর্মরত ৭২০০ কর্মী উপকৃত হবে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। বিগত চুক্তির তুলনায় ১,৮০০ টাকা হারে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি হবে। বোনাসের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার ৮০০ টাকা।
অন্যদিকে, সোমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের (পিডিসিএল) অধীনে কর্মরত মোট সাত হাজার ২৭৩ জন কর্মচারী এই বর্ধিত বেতন বাড়ানো হল। এই চুক্তির ফলে কর্মচারীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন বাড়বে ২,২০০ টাকা। সর্বোচ্চ বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় চার হাজার টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন হারে বেতন পাবেন কর্মীরা।এবার থেকে এই কর্মীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনাজনিত বিমাও চালু হচ্ছে। পিডিসিএলের অধীনে রাজ্যের পাঁচটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। ব্যান্ডেল, কোলাঘাট, বক্রেশ্বর, সাঁওতালডিহি এবং সাগরদিঘিরতে পাঁচটি জায়গায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি রয়েছে। এই পাঁচ কেন্দ্রে নিগমের সরাসরি অধীনে এই বিরাট সংখ্যক চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রয়েছেন। নিয়মানুযায়ী চারবছর অন্তর এই বেতন বৃদ্ধির ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। পুজোর আগেরই রাজ্যের হিমঘর-সহ বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কর্মরত ঠিকা শ্রমিকদের মুখে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে হাসি ফুটল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy