Advertisement
E-Paper

ভুল কবুল, দেওয়াল মুছলেন পড়ুয়ারাই

সব স্তরের নিন্দার মুখে প্রতিবাদ জানানোর পদ্ধতি নিয়ে অন্তত পিছু হটলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ-আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। স্বীকার করে নিলেন, ভুল হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৫ ০৩:২০
চলছে দেওয়াল মোছা। সোমবার প্রেসিডেন্সিতে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

চলছে দেওয়াল মোছা। সোমবার প্রেসিডেন্সিতে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

সব স্তরের নিন্দার মুখে প্রতিবাদ জানানোর পদ্ধতি নিয়ে অন্তত পিছু হটলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ-আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। স্বীকার করে নিলেন, ভুল হয়েছে।

সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই পড়ুয়ারা জানান, তাঁদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শুরু হয়েছিল। তবে কিছু ক্ষেত্রে তা অশোভন হয়ে গিয়েছে। মহিলাদের অন্তর্বাস পরে স্লোগান দেওয়া, উপাচার্যের ঘরের দেওয়ালে লিখে নোংরা করা, ঘেরাওয়ের সময় উপাচার্যের ঘরের মধ্যে কারও কারও ধূমপান যে কোনও ভাবেই আন্দোলনের অঙ্গ হতে পারে না, এ দিন তা স্বীকার করেন এবং দুঃখও প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পক্ষে নভোজিৎ দে বলেন, ‘‘দেড় বছর ধরে আমাদের দাবি উপেক্ষিতই হয়েছে। সে-দিন পুলিশ আমাদের মারধর করায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আমরা কিছু ভুল করে ফেলেছি। তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’’ এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি থাকায় উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার ঘর বন্ধ ছিল। পাশের একটি ঘরে নিজেদের লেখা স্লোগান, টিপ্পনী মুছতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

ভুল কবুলের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের দাবিগুলির ‘ন্যায্যতা’ নিয়ে এ দিনও ফের সরব হন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, একের পর এক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর বেশ কয়েক জন শিক্ষককে বদলিও করেছে। এতে পঠনপাঠনের ক্ষতি হচ্ছে। এ-সব নিয়ে বারবার দরবার করা হলেও উপাচার্য নির্বিকার থেকেছেন। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্সিতে ঢুকে যারা তাণ্ডব চালিয়েছিল, তাদের সাজা দেওয়ার ব্যাপারেও উপাচার্যের তরফে কোনও রকম তৎপরতা দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তাঁরা অনড় আছেন বলে ফের জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানান, আজ, মঙ্গলবার থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করবেন তাঁরা।

বিক্ষোভ-আন্দোলনের পদ্ধতি নিয়ে প্রেসিডেন্সির ওই পড়ুয়াদের নিন্দা করলেও শিক্ষাজগতের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করেন, তাঁদের দাবিগুলোর গুরুত্ব আছে। এর পরেও সেগুলো উপেক্ষা করলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ বাড়তে থাকবে এবং তাতে আখেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের পরিবেশই নষ্ট হবে।

Presidency protest unacceptable student teacher
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy