যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
ভর্তির জন্য আবেদন করেননি। অথচ তাঁর নামই ঠাঁই পেল মেধা-তালিকার শীর্ষে! একটি নয়, বিজ্ঞান বিভাগের চারটি বিষয়ে এমনটাই ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি আর কেউ নন, এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম অর্চিষ্মান পাণিগ্রাহী।
যাদবপুর সূত্রের খবর, স্নাতকের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক ও ভূতত্ত্বের মেধা-তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে অর্চিষ্মানের নাম। হতবাক অর্চিষ্মান বলেন, ‘‘আমি তো যাদবপুরে ফর্মই পূরণ করিনি! আমি সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেছি।’’ তিনি জানান, আইআইএস বেঙ্গালুরুতে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এবং ইতিমধ্যে সেখানে যোগও দিয়েছেন।
দু’বছর আগে যাদবপুরে অর্থনীতির মেধা-তালিকায় নাম ছিল সুভাষচন্দ্র বসুর। কিন্তু অনেক অপেক্ষার পরেও এই নামের কোনও প্রার্থী না-আসায় কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন, নামটি ভুয়ো। তদন্তের আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার পরেও যে ফাঁকফোকর রয়ে গিয়েছে, অর্চিষ্মানের বৃত্তান্ত তারই প্রমাণ।
কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, অনলাইনে আবেদন করার পরে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা-তালিকা তৈরি হয়। কাউন্সেলিংয়ে নথি যাচাই করা হয়। কোনও গরমিল থাকলে তখনই ধরা পড়ার কথা। কিন্তু অনলাইনে এ ভাবে ভুয়ো প্রার্থীর নাম দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করার থাকে না।
উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘সুপরিকল্পিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আমি এখনও অভিযোগ পাইনি। পেলে নিশ্চয়ই পুলিশকে জানানো হবে। কারণ এটা সাইবার অপরাধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy