পাশ-ফেল কবে ফিরবে, সেটা পরের কথা। আপাতত রাজ্যের স্কুল স্তরে নতুন পাঠ্যক্রম মেনে পঠনপাঠন কেমন চলছে, তার বিশ্লেষণী মূল্যায়ন শুরু করছে সিলেবাস কমিটি।
নতুন মানে তা-ও বছর পাঁচেকের পুরনো। ২০১৩ সাল থেকে স্কুল স্তরে নতুন পাঠ্যক্রমে পঠনপাঠন চলছে। সেটা পড়ুয়াদের উপরে কেমন প্রভাব ফেলেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে তার বিশ্লেষণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বিকাশ ভবনের খবর, বিশ্লেষণী মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকেরাই। সেই জন্য চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই সব জেলায় তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু করে দিচ্ছে সিলেবাস কমিটি।
স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, পড়ুয়ারা যাতে বিষয়ের গভীরে গিয়ে উত্তর দিতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম বদলানো হয়েছে। পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তার ফল পাওয়া সম্ভব নয় বুঝেই প্রায় পাঁচ বছর সময় নেওয়া হল। এ বার ২০১৩ থেকে ’১৭ পর্যন্ত পরিবর্তিত পাঠ্যক্রমের প্রভাব বিশ্লেষণের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকদের বেছে নেওয়া হয়েছে। মূল্যায়ন কী ভাবে করতে হবে, সেই বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণে শিক্ষকদের জোর দেওয়া হবে সর্বত্র যেন ‘পিকক মডেল’ অনুসরণ করা হয়।