—প্রতীকী ছবি।
বাংলা শিক্ষা পোর্টালে পড়ুয়াদের নম্বর তুলতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা শিক্ষকদের। তাঁদের অভিযোগ, দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ইতিমধ্যেই মাস খানেক আগে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার নম্বর তুলতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে পোর্টালটি খুলছেই না। অনেকক্ষণ পরে পোর্টালটি খুললেও কয়েক ধাপ পেরিয়ে পোর্টালে পড়ুয়াদের নম্বর আপলোড করতে গিয়ে নম্বর বসানোই যাচ্ছে না।
শিক্ষকদের প্রশ্ন, শিক্ষা দফতর যেখানে প্রশাসনিক কাজ প্রায় সব কিছুই অনলাইনে করার কথা বলছে, সেখানে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে নম্বর আপলোড করার বিষয়টিতে কেন নজর দিচ্ছে না তারা? তাঁদের অভিযোগ, সমস্যাটা অনেকদিন ধরেই হচ্ছে। অভিযোগ, জেলা হোক বা কলকাতা, পোর্টাল খুলতে গিয়েই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
কলকাতার বাঙুরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের নম্বর আপলোড করতে গিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের সময়েও সেই একই অবস্থা হচ্ছে। এদিকে পুজোর পরেই আবার তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন হবে। তারপর তিনটে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন মিলিয়ে সামগ্রিক রেজাল্ট তৈরি হবে পড়ুয়াদর। কী ভাবে কাজ শেষ হবে?"
প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, পোর্টাল ঠিক মতো না খোলায় প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের নম্বরও অনেকে আপলোড করতে পারেননি। ফলে কাজ ক্রমশই জমে যাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকজন শিক্ষকের অভিযোগ, হাপিত্যেশ করে বসে থাকার পরে রাত সাড়ে দশটায় একবার পোর্টাল হয়তো খুললেও কিছুক্ষণ পরে ফের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, "পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের নম্বর আপলোড করতে না পারলে আমরা কম্পিউটারে মার্কশিট তৈরি করতে পারছি না। ফলে সেই পুরনো পদ্ধতিতে হাতে লেখা মার্কশিট পড়ুয়াদের দিতে হচ্ছে।"
কেন এই হাল?
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “বর্তমানে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে পড়ুয়াদের আধার নম্বর আপলোডের কাজ চলছে। ফলে পোর্টালটা একটু আস্তে চলছে বলে মনে হয়। কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটিও থাকতে পারে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy