শিশু মনোবিদ হিরণ্ময় সাহা বলেন, বাচ্চারা যা শোনেনি, তা শিখতে পারে না। ফলে, জানতে হবে কোত্থেকে শব্দগুলো সে শিখছে। সঙ্গে এটাও মনে রাখবেন, বহির্জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে, শব্দগুলো কানে আসবেই। কিন্তু সেগুলো যে শেখার জিনিস নয়, সন্তানকে সেটাই বোঝাতে হবে।
• বছর পাঁচেক পর্যন্ত শোনা কথা আওড়ানোর অভ্যাস থাকে শিশুদের। না বুঝেই অনেক শব্দ বলে তারা। এ ক্ষেত্রে দেখতে হবে চারপাশের পরিবেশ থেকে সে খারাপ শব্দ শিখছে কি না।
• সন্তানকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিন। অনেক সময় দেখা যায় শুধুমাত্র গুরুত্ব পেতে, অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শিশু খারাপ কথা বলছে।
• ছোট থেকেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক নাম সন্তানকে শেখান। কারণ, অধিকাংশ খারাপ শব্দই শরীর সম্পর্কিত।
• টিভি, কম্পিউটার, মোবাইলে সন্তান কী ধরনের অনুষ্ঠান দেখছে, কী গান শুনছে নজর রাখুন। মনে রাখবেন এ সব থেকেই গালিগালাজ শিখে যায় বাচ্চারা।
যখন দেখছেন সন্তান কুশ্রী কিছু শব্দ শিখে গেছে এবং প্রয়োগ করছে তখন বেশি রাগারাগি, মারধর করবেন না। মাথা ঠান্ডা রেখে বোঝানোই এ ক্ষেত্রে একমাত্র উপায়।
• বাইরের পরিবেশ থেকে বাচ্চারা খারাপ শব্দ শিখতেই পারে। সন্তানকে বোঝান অন্যের কাছে এই ধরনের শব্দ গ্রহণযোগ্য হলেও আপনার পরিবারে তা একেবারেই নিষিদ্ধ।
• টিন-এজারদের ক্ষেত্রে দেখা দরকার তার বন্ধুবান্ধব, মেলামেশার জগৎটা ঠিক কেমন। সন্তানকে বুঝিয়ে দিন বড় হওয়া বা আধুনিকতার মানে খারাপ শব্দ আওড়ানো নয়।
সন্তানকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখান। খারাপ শব্দের প্রয়োগ আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে।
• সব শেষে মনে রাখা জরুরি বাড়ির পরিবেশ সুস্থ হতে হবে। অভিভাবকদের শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংযত থাকতে হবে।
সাক্ষাৎকার দেবাঞ্জনা ভট্টাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy