Advertisement
E-Paper

অনিন্দ্যের জামিনের আবেদন খারিজ

তিনি প্রভাবশালী। এই যুক্তিতেই আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। সল্টলেকের এক ব্যবসায়ীকে প্রাণে মারা, তোলা চেয়ে হুমকির অভিযোগে ১২ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৬ ০১:৪২

তিনি প্রভাবশালী। এই যুক্তিতেই আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের।

সল্টলেকের এক ব্যবসায়ীকে প্রাণে মারা, তোলা চেয়ে হুমকির অভিযোগে ১২ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে। পরে তাঁর আরও দুই সঙ্গী সিন্ধু কুণ্ডু এবং মহম্মদ নাসিমকেও গ্রেফতার করা হয়। তিন জনকেই মঙ্গলবার বিধাননগর আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানেই সরকারি আইনজীবী সাবির আলি জানান, অভিযুক্ত অনিন্দ্য প্রভাবশালী ব্যক্তি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর এ রকম আচরণ সমাজে প্রভাব বিস্তার করে। তাই এখনই জামিন মঞ্জুর হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। সেই নিরিখেই এ দিন তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহা এবং আইনজীবী রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্তদের হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, মক্কেল তিন জনের মধ্যে কোনও যোগাযোগ নেই। তিন জনের সামাজিক অবস্থান ভিন্ন। এ ছাড়া, এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি পুলিশ। ধৃতদের নিজস্ব হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানায়নি পুলিশ। এমনকী যে বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ঘিরে অভিযোগ, তার প্রকৃত ঠিকানা পর্যন্ত অভিযোগে নেই। আইনজীবীদের কথায়, এই অবস্থায় ইতিমধ্যেই ১৪ দিন জেল হেফাজতে ছিল ধৃতেরা। কিন্তু তদন্তে নতুন করে কোনও অগ্রগতিও হয়নি। তাই এ দিন তাঁদের জামিনের আবেদন করা হয়।

পাল্টা সওয়ালে সরকারি আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত কাউন্সিলর পুলিশের জেরায় কার্যত অভিযোগ স্বীকার করেছেন। এমনকী তিনি ও তাঁর দলের ৯জন এই কাজে জড়িত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পুলিশকে। ওই নয় জনের মধ্যেই রয়েছে ধৃত সিন্ধু ও নাসিমের নাম। ফলে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলেই দাবি সরকারি আইনজীবীর। পাশাপাশি চা বিক্রেতা, একজন দর্জি-সহ মোট চার জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে। যাঁদের দাবি, অনিন্দ্য তাঁদের থেকে তোলা আদায় করেছেন। তোলা না দিলে তাঁরা ব্যবসা চালু রাখতে পারতেন না। বয়ান নেওয়া হয়েছে বিধাননগরের পুর কমিশনার অলোকেশপ্রসাদ রায়েরও। এ ছাড়া, নয় জন সঙ্গীর মধ্যে দু’জন গ্রেফতার হলেও বাকি সাত জন এখনও অধরা। ফলে এই অবস্থায় ধৃতদের জামিন দিলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে।

এ দিন দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরে জামিনের আবেদন খারিজ করে অভিযুক্তদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক সোমশুভ্র ঘোষাল।

bail plea
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy