রাজ্যে এ বার লোকসভা ভোট হবে ৭ দফায়। দু’বছর আগে রাজ্যে বিধানসভা ভোটও হয়েছিল ৭ দফায়। বাংলায় ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত দফায় দফায় দীর্ঘ ভোট করানোর সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়ে গেল বিতর্ক এবং চাপান-উতোর।
বিজেপির দাবি, বাংলায় ৭ দফায় ভোটগ্রহণ রাজ্য সরকারের জন্য ‘অপমান’। তাদের মতে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট যে, বাংলায় আইনশৃঙ্খলার হাল খারাপ। তৃণমূল পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ৭ দফায় ভোট হবে। বিজেপির দাবি মানলে ধরে নিতে হবে, তাদের হাতে থাকা ওই দুই রাজ্যেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সঙ্গিন! তামিলনাড়ুর মতো ৩৯ আসনের রাজ্যে এক দফায় ভোট হলে ৪২ আসনের বাংলায় কেন ৭ দফা, এই প্রশ্নও উঠছে তৃণমূল শিবির থেকে। আবার মাত্র দু’টি করে আসনের ত্রিপুরা ও মণিপুরে দু’দফায় ভোট নেওয়া হবে। ওই দুই রাজ্যেই এখন বিজেপির সরকার।
সাধারণ মানুষের অসুবিধা এবং রমজান মাসে ভোট ফেলার যুক্তি নিয়েই তৃণমূল অবশ্য বেশি সরব হয়েছে। রাজ্যের অন্য দুই বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেস অবশ্য বলেছে, ক’দফায় ভোট হচ্ছে— সেটা বড় কথা নয়। রাজ্যে ভোটের দফা নিয়ে তারা কমিশনের কাছে দরবার করতেও যায়নি বলে জানিয়ে ওই দুই দলের বক্তব্য, মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারবেন, এটাই নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন।