Advertisement
E-Paper

ভোটে নিরপেক্ষ থাকতে প্রশিক্ষণ সব পুলিশকেই

এক পক্ষকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হল। আটকে দেওয়া হল অন্য পক্ষের মিছিল। এটা আর চলবে না। অন্তত আর তা চলতে দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪১
—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

এক পক্ষকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হল। আটকে দেওয়া হল অন্য পক্ষের মিছিল। এটা আর চলবে না। অন্তত আর তা চলতে দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন। তারা চায় না, ভোট পর্বে সভা-সমিতি-মিছিল বা নিরাপত্তা নিয়ে কোনও বৈষম্য হোক। পুলিশ-প্রশাসনের অনুমোদনে থাকতে হবে নিরপেক্ষতা। আর এ-সব বোঝাতেই প্রশিক্ষণ হবে পুলিশ কমিশনার-পুলিশ সুপারদের। প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষাও দিতে হবে তাঁদ‌ের।

সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে পুলিশকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পরীক্ষা নেওয়ার কথা। বিভিন্ন রাজ্যে সভা-সমিতি ও মিছিলের অনুমোদনের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ থাকে। এ বার যাতে এই ধরনের অভিযোগ না-ওঠে, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে চায় কমিশন। তাই এই সব অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকার বার্তা দিয়েছে তারা। সেই বার্তা রূপায়ণে কী কী করণীয়, তা বোঝাতেই চতুর্থ সপ্তাহে প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত হচ্ছে।

সভার অনুমোদনের ক্ষেত্রে সম্প্রতি এ রাজ্যেও নানা ধরনের জটিলতার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে চাপান-উতোর চলে। ভোট পর্বে অনুমোদনের ক্ষেত্রে যাতে কোনও বৈষম্য না-থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন। ‘‘কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায়, একই মাঠে একটি রাজনৈতিক দল সভার অনুমতি পেল, অথচ অন্য দলকে দেওয়া হল না। তেমন কোনও অভিযোগ কমিশন আর বরদাস্ত করবে না,’’ বলেন এক কমিশন-কর্তা।

শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিরপেক্ষ থাকলেই চলবে না। প্রার্থীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বৈষম্য এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একই এলাকার সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় এক রকম বন্দোবস্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ-প্রশাসনকে। কোন দলের প্রার্থী, তা বিচার না-করে সব প্রার্থীরই নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বার্তা দিয়েছে কমিশন।

‘মডেল কোড অব কন্ডাক্ট’ বা নির্বাচনী আচরণবিধি রূপায়ণের ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, তা-ও স্পষ্ট করে দিচ্ছে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের কর্তারা প্রশিক্ষণ পর্বে পুলিশকর্তাদের বোঝাবেন, সমস্যাপ্রবণ এলাকা কী ভাবে বাছাই করতে হয়, সেই বিষয়ে কমিশনের নির্দেশিকা কী, নির্বাচনী খরচের হিসেব কী ভাবে করা হয়, কোন কোন নিয়মকানুনকে মান্যতা দিতে হবে, ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলার সামলানোর ক্ষেত্রে কী ভাবে পদক্ষেপ করা হবে ইত্যাদি।

প্রশিক্ষণের শেষে মূল্যায়ন হবে পুলিশকর্তাদের। এই মূল্যায়নের জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করছে কমিশন। সেই প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দিতে হবে। প্রশিক্ষণ হবে পুলিশ সুপার থেকে কনস্টেবল স্তরেও। সব স্তরেই পরীক্ষা দিতে হবে প্রশিক্ষিতদের। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘নিয়মকানুন জানা-বোঝাই এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য। ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব পুলিশকর্তা ও কর্মীরা প্রশিক্ষণ নেবেন।’’ কনস্টেবলদের প্রশিক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসনে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে সিইও দফতর।

Training Police Lok Sabha Election 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy