তদন্তকারীদের দাবি, অন্নুর কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত সিম কার্ড-সহ মোবাইল এবং নগদ ৯০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সুমনের চন্দননগরের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘সিল’ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে ৫৪ হাজার টাকা রয়েছে। ধৃতেরা কবুল করেছে, মহামারিকে হাতিয়ার করে তারা দিন পনেরো ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে একই ভাবে প্রতারণা করেছে।
কেমন সেই প্রতারণা?
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার মুম্বইয়ের বিভা আগরওয়াল নামে এক চিকিৎসক চন্দননগর থানায় ফোন করে জানান, তাঁর পরিবারে কোভিড আক্রান্তের জন্য রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন ছিল। তিনি একটি ‘হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ’ থেকে পাওয়া নম্বরের মাধ্যমে অন্নু মেহেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অন্নু তাঁকে জানায়, ‘ফোন পে’-তে ৬০০০ টাকা অগ্রিম পাঠালে তাঁর বাড়িতে দু’টি রেমডেসিভিরের ভায়াল পৌঁছে যাবে। সেইমতো গত ১ মে তিনি টাকা পাঠান। কিন্তু তারপরেই অন্নু যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ওই চিকিৎসক ‘ফোন পে’ মারফত জানতে পারেন, তাঁর প্রদেয় ৬০০০ টাকা চন্দননগরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ‘ট্রান্সফার’ হয়েছে। কিন্তু তিনি রেমডেসিভির পাননি।
চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ চন্দননগর থানাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নামে। মোবাইল ফোনের সূত্রেই অন্নুর হদিশ মেলে বলে তদন্তকারীরা জানান। ধৃতদের বুধবার চন্দননগর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক দু’জনকেই সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা যুক্ত, তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, এই জেলায় এই ধরনের জালিয়াতরা কোথায় কোথায় এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।